২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মনিরামপুরে চার শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীর মানবেতর দিনযাপন

-

গত ২১ বছর শিক্ষকতা করে কিছুই দিতে পারেননি পরিবারের সদস্যদের। এই পেশায় না এসে ভিন্ন কোনো পেশায় থাকলে অন্তত ঈদে বউ-সন্তানদের নতুন পোশাক দিতে পারতাম। আক্ষেপের সাথে কথাগুলো বলছিলেন মনিরামপুরের মহাদেবপুর জুনিয়র স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। সিটি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মলয় কুমার রায় বলেন, তাদের বিদ্যালয়টি স্থাপিত ১৯৯১ সালে। কিন্তু আজো বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়নি। তিনি বলেন, গত ২৫টি বছর শিক্ষকতা করে চলেছি। কোনোদিন স্ত্রী-সন্তানদের বলতে পারেননি আজ আমার চাকরির বেতন হয়েছে। চার বছর পরেই অবসরে যাব। কিন্তু বেতন সৌভাগ্যে আছে কিনা তাও বলতে পারি না। শুধু মিজান-মলয় নয়, উপজেলার চারটি কলেজ, আটটি দাখিল মাদরাসা এবং আটটি মাধ্যমিক ও জুনিয়র স্কুলের চার শতাধিক শিক্ষক বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিদ্যালয় মহাদেবপুর জুনিয়র স্কুলটি ২০০০ সালে স্থাপিত হয়। এ বিদ্যালয়টিতে সাতজন শিক্ষক-কর্মচারী এমনই বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ৩৩ বছর এমপিওভুক্ত না হওয়া বড় চেৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাই বসু জানান, ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছি। শিগগিরই আমি প্রধান শিক্ষক নিতাই বসু এবং কৃষি শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র অবসরে যাচ্ছি। কিন্তু বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে গত ৩৩টি বছর বেতন হিসেবে সরকারের একটি টাকাও ভাগ্যে জোটেনি। আর জোটবে কিনা তাও অনিশ্চিত। তবে বেতন না পেয়ে যেমন কষ্টের মধ্যে শিক্ষক পরিবারগুলো রয়েছেন তা কেবল ভুক্তভোগীরা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবেন না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, মনিরামপুরের ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সেখানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বছরের পর বছর অর্থাভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডু জানিয়েছেন, ৯৯ সালে কলেজটি স্থাপিত হয়েছে। কলেজটি আজো পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়নি। যার ফলে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী অর্থাভাবে চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। এরই মধ্যে কলেজের সরকারি দেয়া তিন তলা বিশিষ্ট ভবনও করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কি বা আসে যায় শিক্ষক-কর্মচারীদের। ঢাকুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ২০০২ সাল থেকে কলেজে ৩২জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন না পেয়ে অর্থাভাবে চরম কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। বহু চেষ্টা করেও আজো পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ আর মুক্তিযোদ্ধা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিলন কুমার ঘোষাল জানান, বেতন না পেয়ে এখন শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক কর্মচারীদের ধারণা প্রতিষ্ঠান মনে হয় আদৌ এমপিওভুক্ত হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে

সকল