দশমিনায় খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
- দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ১০ মে ২০২১, ০১:৪৩
পটুয়াখালী-দশমিনা আন্তঃজেলা সড়কের মাছুয়াখালী-বটতলায় সুসংহত খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অনুরোধ শুনছেন না খামার মালিক রেজাউল করিম হিরন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাত ইউনিয়নে সোনালী-২৮টি, ব্রয়লার-৩৫টি, লেয়ার-১০টি ও হাঁস-১৮টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধনকৃত রয়েছে সোনালী-একটি, ব্রয়লার-একটি, লেয়ার-তিনটি ও হাঁস-একটি খামারের।
মাছুয়াখালী-বটতলায় আন্তঃজেলা সড়কের পাশে স্থানীয় প্রভাবশালী জোমাদ্দার রেজাউল করিম হিরন সুসংহত (মুরগি-মাছ মিশ্রচাষ) খামার গড়ে তোলেন। অব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে পাশের দোকান ও পথচারীরা দুর্গন্ধে দুর্ভোগ সয়ে আসছে প্রতিনিয়িত।
স্থানীয় চা বিক্রেতা হেমায়েত রাড়ি জানান, গন্ধে আমার দোকানে মানুষ আসতে চায় না। চা বিক্রি একদম বন্ধ হয়ে গেছে। ওষুধ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান জানান, বহুবার অনুরোধ করেও দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাইনি। ব্যবসা গুটিয়ে নেয়া ছাড়া উপায় দেখছি না। স্থানীয় রুবেল হোসেন বলেন, বটতলা বাজারটি ছোট বাজার। একে একে সবাই চলে যাচ্ছে দুর্গন্ধের কারণে। এ বিষয়ে খামার মালিক রেজাউল করিম হিরন জোমাদ্দার বলেন, সুসংহত ও একুয়াপনিক্স পদ্ধতিতে মুরগি-মাছ, মাছ-সবজি ও ধান উৎপাদন খামার এটি। বর্তমানে ১৮ শ’ সোনালী মুরগি আছে আমার এই খামারে। এত বড় খামার সরিয়ে নেয়া যায় না। আমি স্যানিটারি অনুমোদন করিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন বলেন, মানুষের বাস ও চলাচলের ৫০০ গজের মধ্যে পরিবেশ দূষণকারী ফার্ম আইনত নিষিদ্ধ। রেজাউল করিম হিরন স্যানিটারি কার্যালয়ের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। খামারের জীব নিরাপত্তা, বর্জ্য নিষ্কাশন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সন্তোষজনক না হলে স্যানিটারি অনুমোদন পাওয়া যায় না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা