আমতলীতে আবর্জনায় ভরা শত বছরের পুকুর
- জয়নুল আবেদিন আমতলী (বরগুনা)
- ০৯ মে ২০২১, ০৪:০৫
বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরে শত বছরের পুরনো জেলা পরিষদের পুকুর পাড় দখল করে বসবাস করছে তিন পরিবার। ওই পুকুর পাড়ে বসবাসকারী পরিবারের লোকজন ময়লা-আবর্জনা ও গোয়াল ঘরের গোবর ফেলায় পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে প্রাণঘাতী করোনাকালীন সময় এবং দাবদাহে চরম দুর্ভোগে পড়েছে গাজীপুর বন্দরের শত শত পরিবার। দ্রুত প্রশাসনের কাছে পুকুর পাড় দখল মুক্ত করে পানি ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, ১৯২০ সালে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের মানুষের পানির চাহিদা মিটানের জন্য গাজীপুর বন্দরে তৎকালীন সরকার .৫৯ একর জমির ওপর পুকুর খনন করে। ওই পুকুরের পানি হাজার হাজার মানুষ ব্যবহার করত। ১৯৮৮ সালে পুকুরটি জেলা পরিষদ অধীনে নিয়ে নেয়। ওই সময় থেকে এ পুকুরটি জেলা পরিষদ দেখভাল করে। ১৯৯০ সালে ওই পুকুর পাড় দখল করে স্থানীয় সোনা খাঁন, শক্তি মিস্ত্রি ও লিটন মিস্ত্রি গৃহ নিমাণ করে বসবাস করে আসছে। প্রতিদিন গাজীপুর বন্দরের শত শত মানুষ ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করে। এ পুকুর পাড়ে বসবাসরত পরিবারের লোকজন ময়লা-আবর্জনা ও গোয়াল ঘরের গোবর পুকুরে ফেলায় পানি ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। গত জানুয়ারি মাসে ওই পুকুর জনস্বাস্থ্য অধিদফতর সংস্কার করে।
স্থানীয় বাবুল মিস্ত্রি বলেন, সোনা খাঁন, শক্তি মিস্ত্রি ও লিটন মিস্ত্রি শত বছরের পুরনো পুকুর পাড়ে ঘর নির্মাণ করে ময়লা-আবর্জনা ও গোয়াল ঘরের গোবর ফেলে পানি নষ্ট করে ফেলেছে। এতে পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারছি না।
এ দিকে দখলকারী লিটন মিস্ত্রি পুকুরে কিছু ময়লা-আবর্জনা ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা পরিষদের কোনো অনুমতি ছাড়াই ৩৫ বছর ধরে পুকুর পাড়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি।
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, ওই এলাকার লোকজন অভিযোগ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে এসেছিল কিন্তু চেয়ারম্যান কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা আমার জানা নেই।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে জেলা পরিষদের লোক পাঠিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা