২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমতলীতে জমে উঠেছে ঈদবাজার

আমতলীতে জমজমাট ঈদবাজার; ছবিটি নিউ মাতৃছায়া বস্ত্রালয় থেকে তোলা : নয়া দিগন্ত -

জমে উঠেছে আমতলীর ঈদবাজার। সরগরম বিপণি বিতানগুলো। টাঙ্গাইল জামদানি, ঢাকাই জামদানির মতো দেশী নামি দামী ব্রান্ডের পাশাপাশি কদর রয়েছে ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানি পোশাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী কিনছে। সকাল থেকে রাত অবদি পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনীয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়ছে।
এ দিকে পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে কাজ করছেন তারা। এ বছর পোশাক তৈরী বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেন টেইলার্স জাফর মিয়া। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে মানুষের ক্রয়-বিক্রয়। প্রশাসনের তেমন পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিকের। মেয়েদের পাকিস্তানি বারিশ পোশাকটি প্রকার ভেদে তিন হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমতলীতে বারিশ ফ্যাশন ও ইন্ডিয়ান বুটিক্স মানেই ঈদ আনন্দ।
একটি দোকানের সেলসম্যান বাসুদেব নাথ ও কালাম প্যাদা বলেন, পার্টি শাড়ি, গোলভানু, স্বর্ণকাতান, কাতান, ইন্ডিয়ান সিল্ক, পাকিস্তানি জামদানি, টাঙ্গাইল, সিনথেটিক্স জামদানি, ঢাকাইয়া জামদানি, কুচি প্রিন্স শাড়ি, লং ফ্রোগ ও ল্যাহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকিস্তানি বারিশ, ইন্ডিয়ান বুটিক্স, হাফ সিল্ক ও ভিনয় থ্রিপিসও বিক্রি হচ্ছে উল্লেখ যোগ্য হারে।
বাজারে অবন্তিকা ১০ হাজার থেকে ১৬ হাজার, জোবেদা ছয় হাজার ১০ হাজার, সাকিলা সাড়ে চার হাজার থেকে ১০ হাজার, নিত্তি ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার, বিবেক সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার, লিভিনা সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার, ফিওনা সাড়ে ছয় হাজার থেকে আট হাজার ও আমিরাও ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শাড়ি সাউথ কাতান সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ১৬ হাজার, জর্দান সিল্ক চার হাজার ৩০০ থেকে আট হাজার ৩০০ টাকা ও জামদানি সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা শিক্ষক জালাল উদ্দিন বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশি। ক্রেতা সোনিয়া আক্তার লিয়া বলেন, পাকিস্তানি বারিশ ফ্যাশনের একটি থ্রিপিস সাড়ে চার হাজার টাকায় কিনেছি। তিনি আরো বলেন, দাম একটু বেশি হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
একটি দোকানের পরিচালক জিএম মুছা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সেলসম্যানদের ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দোকান মালিক কাউন্সিলর রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, পাকিস্তানি বারিশ, বিবেক থ্রিপিস বেশি বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে বাজারে আসার কথা ব্যক্ত করে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষের বাড়ি ফিরে যেতে যেন সমস্যা না হয়।


আরো সংবাদ



premium cement