২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় যত্রতত্র ডাস্টের স্তূপ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আবাসিক গেটের ১০০ গজ দূরে ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর সড়কের পাশে খোলা আকাশের নিচে এভাবেই স্তূপ করে রাখা হয়েছে কয়লার ডাস্ট : নয়া দিগন্ত -

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকায় যত্রতত্র কয়লার ডাস্টের স্তূপ বানিয়ে ব্যবসা করায় পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে খনি এলাকার জনস্বাস্থ্য।
বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক কয়লার ডাস্টের স্তূপ। ৫০ গজ দূরে দূরে রাস্তার ধারে কয়লার ডাস্টের স্তূপে পুরো এলাকা ভরে গেছে। স্তূপগুলো থেকে এলাকার কিছু ব্যক্তি বিক্রি করছে কয়লার ডাস্ট। জানা গেছে, কয়লা খনির ভূগর্ভ থেকে উত্তোলিত পানিতে এই ডাস্টগুলো ভেসে আসে। এ পানি ড্রেন দিয়ে বাইরে বের করে দেয়ার সময় কিছু দিনমজুর ও এলাকার মহিলারা জাল কিংবা স্বচ্ছ কাপড় দিয়ে ডাস্ট সংগ্রহ করেন। পাশেই রেলওয়ের জায়গা দখল করে খাল খনন করে কিংবা নিজের জমিতে খাল করে কেউ কেউ কয়লা খনি থেকে বের হওয়া পানি নিজের জমিতে রেখে দিয়ে কয়লার ডাস্ট সংগ্রহ করেন। ওই ডাস্ট রাস্তার ধারে কিংবা কোনো মিল চাতালে রেখে শুকিয়ে তা আবার কয়লা গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়।
সূত্র জানায়, ডাস্ট সংগ্রহকারীরা দিনে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা মজুরি পেলেও লাভের বড় একটি অংশ নিয়ে যাচ্ছেন কয়লা ব্যবসায়ীরা। এ দিকে গ্রামে ও সড়কের পাশে যত্রতত্র ডাস্ট স্তূপ করে রাখায় তা বাতাসে মিশে পরিবেশ দূষিত করছে। সেই সাথে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে স্থানীয়দের।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পার্বতীপুর হলদীবাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্র জানায়, খনি এলাকার অধিকাংশ মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তারা প্রায়ই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ভিড় করছেন। সূত্র জানায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে কয়লা খনির সিবিএর কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে গোপন চুক্তির বিনিময়ে কয়লা খনি থেকে সেচকৃত পানি থেকে এই ডাস্ট উত্তোলন করছেন। কেউ কেউ ডাস্টের ব্যবসা করে এখন কোটিপতি হয়েছেন। অথচ তাদের ব্যবসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঐ এলাকার বাসিন্দা ও পথচারীরা। পরিবেশ অধিদফতরের কর্তাব্যক্তিরা খনি এলাকা পরিদর্শনে না আসায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বীরদর্পে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনই ডাস্টের স্তূপগুলো জনবসতি এলাকা ও চলাচলরত রাস্তার ধার থেকে স্থানান্তর না করা হলে দিন দিন জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি আরো বাড়বে। এতে সংশ্লিষ্ট দফতরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
ডাস্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে ব্যবসা করছেন বলে জানান। যেখানে ডাস্ট রাখা হয়েছে সেই জায়গাগুলো তাদের নিজেদের আর কিছু ভাড়ায় নেয়া বলেও জানিয়েছেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement