কলাগাছের আঁশ থেকে হবে সুতা শপিংব্যাগ

গাইবান্ধায় কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা, শপিংব্যাগসহ নানা উন্নতমানের ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষক মোজাম উদ্দিন। সে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে বায়েছ উদ্দিনের ছেলে।
পরিত্যক্ত কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতায় হবে উন্নতমানের কাপড়, শপিংব্যাগসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস। তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে এলাকার অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশ অর্জন করতে পারবে বিদেশী মুদ্রা। সেইসাথে কলাগাছের বর্জ্য থেকে তৈরি জৈব সার দেশে সারের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মোজাম উদ্দিন নিজেই দীর্ঘ চেষ্টার পর তৈরি করে আঁশ উৎপাদনের একটি মেশিন। যা দিয়ে সে ইতোমধ্যে আঁশ উৎপাদন শুরু করেছে। তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী। কিন্তু মেশিন ২৪ ঘণ্টা চালাতে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই নিজেই কলাগাছ সংগ্রহ, পরিবহন, কলাগাছের বাকল তোলা, তা মেশিনে দিয়ে আঁশ বের করা, পানিতে ধোয়া এবং রোদে শুকানোর কাজ নিজেই করেন। এতে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন না তিনি। সরকারিভাবে স্বল্প সুদে তাকে প্রয়োজনীয় ঋণ দেয়া হলে এই কলাগাছের উচ্ছিষ্টকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী।
মোজাম উদ্দিন বলেন, চীনে এই আঁশের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার একটি কোম্পানি এই আঁশ ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং প্রতি কেজি আঁশের মূল্য ২৩০ টাকা মূল্যে এই আঁশ বিক্রি করা যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, কলাগাছের বাকল থেকে আঁশ উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি এবং উৎপাদিত আঁশের নমুনা সংগ্রহ করে এর গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছি। যদি গুণগত মান বিবেচনায় আঁশের চাহিদা পাওয়া যায় তাহলে উদ্যোক্তা মোজাম উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা বিসিকের সহকারী ব্যবস্থাপক রবীন রায় জানান, তার এ বিষয়টি ভালো ও ব্যতিক্রর্মী উদ্যোগ। পচনশীল ফেলে দেয়া কলাগাছ থেকে ফাইবার উৎপাদন করার বিষয়টি একটি উল্লেখ্য আবিষ্কার।