২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না চিলমারীবাসী

-

বাজেট আসে, বাজেট যায় কিন্তু মাসের পর মাস বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও দুর্ভোগ আর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না চিলমারী সদরসহ উপজেলাবাসীর। নামে সদর হলেও কাজে যেন দুর্ভোগের অঞ্চল। দিনের পর দিন বেড়েই চলছে দুর্ভোগ। ঘটছে দুর্ঘটনা। অসহায় স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন থেকে জলাবদ্ধতা আর দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ পড়লেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। বাড়ছে ক্ষোভ আর হতাশা।
জানা গেছে, বৃষ্টি হলেই পানি আর কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় কুড়িগ্রামের চিলমারী সদর থানাহাট বাজার প্রবেশের প্রধান সড়ক দু’টি। সামান্য বৃষ্টি হলেই চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে থানাহাট বাজার ও উপজেলা সদর থেকে থানাহাট বাজারের রনি মোড় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় রাস্তাগুলো প্রায় হাঁটুপানিতে ডুবে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। রিকশা, অটোসহ বিভিন্ন যানবাহন চলা চলের সাথে মানুষজনেরও চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হয়। প্রায় সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, থানাহাট বাজারের প্রায় সব অলিগলিগুলো ভরে যায় পানিতে। সাথে সাথে তরকারি বাজার, মাছ বাজার, পান সুপারি বাজারসহ বিভিন্ন গলি পানিতে ডুবে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে দুর্ভোগে পড়ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো বাজার পানিতে যেন হাবুডুবু খায়, ড্রেন নতুনভাবে করা হলেও রাস্তা থেকে উঁচু ও পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না নেয়ায় বছরকে বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রিকশা ও অটো চালকগণ জানান, বৃষ্টি হলেই বাজার প্রবেশের সড়কগুলো পানিতে ডুবে যায়। এ ছাড়াও গর্তের ফলে অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়। বাজার করতে আসা রহিম, মজনুসহ অনেকে বলেন, হামরা সাধারণ মানুষ, হামার সমস্যা হলে কি কারো কিছু হইবে, বছরের পর বছর থাকি দুর্ভোগে আছি কিন্তু কেউ তো নজর দেয় না। কি আর করার পানি আর কাদা দিয়েই কষ্ট করি চলি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্র সাথে কথা হলে তিনি দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও বাজারের নিচু স্থানগুলো উঁচু করাসহ পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement