২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাঙালী নদীর বুকে বিস্তীর্ণ চর

-

এককালের ভয়াবহ খরস্রোতো বাঙালী নদী এখন ফেটে চৌচির। কালের বিবর্তনে নদীর অধিকাংশ এলাকা এখন শুকিয়ে গেছে। বেশির ভাগ জায়গা ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও পতিত মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। অথচ এক সময়ের বর্ষাকালে নদীর পানি ফুলে ফেঁপে দুই পাড় উপচে পড়ত। সেই সাথে দুকূলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সীমানায় বাঙালী নদীর উৎপত্তি হলেও বিশাল অংশজুড়ে অবস্থান রয়েছে বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায়। স্রোতস্বিনী উত্তাল নদীটি একসময় ছিল পূর্ব বগুড়ার সাথে বগুড়া শহরের নদীপথের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। বড় বড় নৌকায় মহাজনরা তাদের মালামাল নিয়ে যাতায়াত করত নদী দিয়ে। এ ছাড়া পূর্ব বগুড়ার ধুনট, সারিয়াকান্দি, গাবতলী ও সোনাতলা উপজেলার মানুষ নৌকায় শহরে যাতায়াত করত। নদীতে সারা বছর থাকত মাঝিমাল্লার উপস্থিতি। বাঙালী নদীর বড় বড় বোয়াল, রুই ও কাতলা মাছের আলাদা স্বাদের কদর ছিল সর্ব মহলে। দল বেঁধে ছেলেমেয়েরা দুরন্তপনা করত এই নদীতে। প্রতি বছর হতো আকর্ষণীয় নৌকাবাইচ। যমুনা নদী বাঙালী নদীর খুব কাছাকাছি হওয়ায় বাঙালী নদীটিও বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর হতো। কিন্তু গ্রীষ্মকালের শুরুতে সেই উত্তাল নদীতে পানি নেই। নেই কোনো ঢেউ, নেই মহাজনী নৌকার চলাচল। অধিকাংশ স্থানে নদীটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও পানি দেখা গেলেও কচুরিপানা ও শ্যাওলায় নদীর তলদেশ ভরা। পানি না থাকায় বাঙালী নদীর বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে জেগে ওঠা নদীর চরে এখন হচ্ছে চাষাবাদ। অনেকাংশে নালার মতো সামান্য পানিপ্রবাহ থাকলেও হেঁটেই হওয়া যায় এপার-ওপার। তলদেশ ভরাট হয়ে এখন নদীটি তার অস্তিত্বই হারাতে বসেছে। নদী তীরবর্তী বিশ্বনাথপুর, চরমধুপুর মধুপুর থেকে সোনাতলায় নদীর শেষ সীমানা পর্যন্ত চোখে পড়ে সবুজ ধানক্ষেত। সর্বত্রই চলছে ফসলের চাষ। নদীর দুই একটি স্থানে পানি দেখা গেলেও সেখানে জমে আছে কচুরিপানা। আর এই শুষ্ক মৌসুমে নদীর বেশির ভাগ অংশ চর জেগে গোচারণ ভূমির পাশাপাশি ধান চাষের জমিতে রূপান্তর হয়েছে। নদী পাড়ের মানুষগুলো নিজের পরিবারের ময়লা ফেলে নদীকে করছে আরো দূষণ।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরের বথুয়াবাড়ী মধুপুর গ্রামের কৃষক শামছুল হক বলেন, নদীতে এক সময় বড়বড় নৌকা চলত। সারা বছর পানি থাকত। গ্রীষ্মকালে নদী শুকিয়ে মরে যাওয়ার সাথে তলদেশে ধানচাষ হয়। নদী ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে গেছে আমাদের। খননের মাধ্যমে বাঙালী নদীর মতো এক সময়ের খরস্রোতা নদীগুলোর জীবন ফিরিয়ে আনতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর তলদেশ খনন করা গেলে শুষ্ক মৌসুমেও পানি পাওয়া যাবে। কৃষি কাজের জন্যও এই নদী দীর্ঘসময় ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তাই বাঙালী নদীর তলদেশ খননে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

সকল