হতাশায় মিরসরাইয়ের মাছচাষিরা
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৩৯
ভালো নেই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মাছচাষিরা। গেল বছরের করোনাভাইরাসকালীন ক্ষতি পোষানোর আগেই আবার লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। চলতি লকডাউন তাদের কাছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে। চট্টগ্রামের মৎস্য জোন হিসেবে খ্যাত মুহুরী মৎস্য প্রকল্পের চাষিদের দিন কাটছে চরম হতাশায়। ফিডের মূল্য বৃদ্ধি, অজানা ভাইরাসে মাছ মরে যাওয়া, মাছের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, খাদ্য, পরিবহন ও শ্রমিকসঙ্কটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে মাছ সরবরাহ করতে না পেরে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এখনকার ছোট বড় প্রায় দুই হাজার মাছচাষি। এ ছাড়া উপজেলাজুড়ে রয়েছে আরো প্রায় ১৩ শ’ মাছচাষি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম জেলার প্রায় ৭৫ ভাগ মাছের চাহিদা পূরণ করা হয় মুহুরী চরের কয়েক হাজার মাছের ঘের থেকে। একসময় যেসব যুবকের বেকার দিন কাটত তারা আজ বাণিজ্যিক মাছ চাষে প্রতিষ্ঠিত এবং অনেকে কোটিপতি। এভাবে মৎস্য চাষের মাধ্যমে বদলে গেছে শত শত বেকার যুবকের ভাগ্যের চাকা। মুখে হাসি ফুটেছে অন্তত ২০ হাজার মানুষের। উপজেলার ধুম, ওসমানপুর, ইছাখালী, মঘাদিয়া ও সাহেরখালী ইউনিয়নে এসব মৎস্য প্রকল্প রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার দু’টি পৌরসভা ও ১৬ ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্প ও পুকুরে মাছ চাষ হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক মাছচাষির সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছর করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের সময় মাছের দাম পড়ে যাওয়ার পর আর বাড়েনি। তার ওপর প্রতি কেজি ফিডের দাম প্রকারভেদে ৭-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অজানা ভাইরাসে লাখ লাখ টাকার মাছ মরে যাচ্ছে। সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে না। তার ওপর আবারো সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে বেচাকেনা একেবারে কমে গেছে।
মাছচাষি এম এ হায়দার বলেন, হঠাৎ করে বাজারে ফিশ ফিডের দাম বেড়ে গেছে। এক মাস আগে ক্রিস্ট্যাটার আইটেমের ফিশ ফিডের দাম ছিল টন-প্রতি ৬৮ হাজার টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার টাকায়। গ্রোয়ার আইটেমের ফিশ ফিডের দাম ছিল টন-প্রতি ৫৫ হাজার টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রায় ২০টি আইটেমের ফিশ ফিডের প্রতিটিরই দাম বেড়েছে।
মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, করোনার প্রভাবে বাজারে সাধারণ ক্রেতা সমাগম না থাকায় তার প্রভাব খুচরা বাজার থেকে আড়ত ও মৎস্য প্রকল্পগুলোতে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, পোলট্রি ও ডেইরিতে সহজে রোগ নির্ণয় করে যেভাবে চিকিৎসা দেয়া যায় মাছের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। তাই মাছ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে চাষিদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া আমাদের লোকবল সঙ্কটের কারণে এবং উপজেলায় পরীক্ষার জন্য ল্যাব না থাকায় সহজে রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা