১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘ঘরে য্যা ছিল হ্যা খাওয়া শ্যাষ’

-

চলমান লকডাউনে আমতলী উপজেলায় ৪৫ হাজার শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। দ্রুত সরকারিভাবে সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন এই ভুক্তভোগীরা।
শ্রমজীবী জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘লকডাউনের পর থেকে কোনো কাম কাজ নাই। পোলাপান লইয়্যা খুব কষ্টে হরি। ঘরে য্যা ছিল হ্যা খাওয়া শ্যাষ। এ্যাহন গুঁড়াগাড়া লইয়্যা কি খামু হেইয়্যা কইতে পারি না।’ অটোচালক বাবুল বলেন, ‘কোনো মতে ফ্যান-পানি খাইয়্যা গুঁড়াগাড়া লইয়্যা বাইচ্চা আছি। কাউনিয়া গ্রামের শ্রমজীবী কামাল বলেন, কোনো কাজ নেই। কিন্তু পেটতো অলস না। সেতো যথাসময়ে খাবার চায়। কি হরবো ভেবে পাচ্ছি না।’
চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। সরকারে নির্দেশিত লকডাউন মানতে গিয়ে উপজেলার হতদরিদ্র, দরিদ্র, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, মোটরসাইকেল চালক, দিনমজুরসহ শ্রমজীবী ৪৫ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুসারে আমতলী উপজেলায় ২৫.০৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে বলে জানান উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। ওই হিসাবে উপজেলায় ৪৫ হাজার হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ রয়েছে। তারা দিনে আনে দিনে খায়। কাজ না জুটলে তাদের খাবার জোটে না।
আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবেই লকডাউন পালনে কাজ করছে। সড়কে চলতে দিচ্ছে না তেমন কোনো যানবাহন। তারপর প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পরিবারপরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়ার জন্য অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরা চলাচল করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement