২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মধুপুরে মাঠের পর মাঠ ধান রেণুশূন্য

-

মধুপুরে মাঠের পর মাঠ বোরো ধানে সবুজের সমারোহ থাকলেও ধানের ভেতর একেবারেই শূন্য। রেণুশূন্য ধান- প্রকৃতির এ বৈরী আচরণে মাথায় হাত কৃষকদের। গত ৪ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝরো হাওয়ায় ধানের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘ খড়ার পর তাপমাত্রা বেশি থাকায় গরম হাওয়ার তাপে ধান চিটা হয়ে গেছে। এটাকে কৃষিবিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন হিট শক। বিশেষ করে ফ্লাওয়ারিং স্টেজ (রেণু অবস্থা) ও মিল্ক স্টেজের (দুধাবস্থা) ধানের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ধানের শীষ কালচে হয়ে বের হচ্ছে। সেখানে কোনো রেণু বা চাল নেই।
প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা ধানের মরা শীষ হাতে নিয়ে আসছেন উপজেলা কৃষি অফিস ও কীটনাশকের দোকানে প্রতিকারের আশায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানান, এ অবস্থায় জমিতে দুই ইঞ্চি পরিমাণ পানি জমিয়ে রাখতে হবে। যাতে ঠা ায় তাপমাত্রা সহনীয় হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কম হবে। তিনি আরো জানান, ঝড়ের এ সময়ে বাতাসে ছত্রাক দ্রুত ছড়িয়ে ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা আরো বেশি। তাই এ সময়ে ভালো মানের ছত্রাকনাশক ধানে স্প্রে করা উচিত। এ ছাড়া এ সময় বিএলবি লিফ বার্ন ব্লাস্ট দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাঠে দায়িত্বরত কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা ও কৃষি অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে হিট শকে ধানের ক্ষতির চিহ্ন। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার গোলবাড়ি, পচিশা, কাইতকাই, জটাবাড়ী, দুর্গাপুর, বোয়ালী, আকাশী, অলিপুর, ধামপাড়া, নরকোন, ধামাবাশুরী, মহিষমারা এলাকায় হিটশকে ক্ষতির পরিমাণ বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement