২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভোলাহাটে দুর্ভোগে আম ব্যবসায়ীরা

-

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা। এবার এখানকার আমবাগানগুলোতে প্রচুর মুকুল এলেও সে হারে আম আসেনি। গুঁটি আসার সময় পর্যন্ত একাধিক হাত বদল হয় আমবাগান। কিন্তু এ বছর নানা জটিলতার কারণে আম ব্যবসায়ীরা আম বাগান কিনতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
আম ব্যবসায়ীরা ও আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটু জানান, গত বছর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে আম বাজারজাত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায় ভোলাহাটের সুস্বাদু আম। কিন্তু করোনায় বিধিনিষেধের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আম বাজারজাত করা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। ফলে ব্যবসায়ীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গত মৌসুমে দাম না পাওয়ায় অনেক আম ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়েন। পুঁজি হারিয়ে অনেকে বিভিন্ন পেশায় ঝুঁকে পড়েন। এবারো করোনার ভয়াবহতা আম ব্যবসায়ীদের ভাবিয়ে তুলেছে। তাই গুঁটি হলেও আমবাগান কিনতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এ সময় একটা আমবাগান বহুবার হাত বদল হলেও এখন পর্যন্ত বাগান বেচা-বিক্রির বালাই নেই। করোনায় আম বাজারজাত করা নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন আম ব্যবসায়ীরা। সরকারের কাছে আমসহ বিভিন্ন ফল বাজারজাত করতে সহাযোগিতা দাবি করেছেন তারা। ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র অর্থকরি ফসল আম। আম থেকে আয় করতে না পারলে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে।
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলায় মোট ২৪ হাজার ৭৫ বিঘা জমিতে আম গাছ রয়েছে। এ বছর আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন যা গত বছরের চেয়ে বেশি। গত বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন।
এ দিকে উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, যে হারে মুকুল এসেছিল সে হারে গুঁটি আসেনি। সম্প্রতি উপজেলায় ঘনকুয়াশা ও বৃষ্টি হওয়ায় মুকুলেই শেষ হয়েছে লাখ লাখ টাকার আম।
স্থানীয় আম ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর গাছে গাছে প্রচুর মুকুল এলেও প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আম ব্যবসায়ী সেলিম রেজা, ফারুক, রফিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, এ বছর আম গাছে প্রচুর মুকুল এসছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনেক কমে যাবে। তারা বলেন, লকডাউন আর পোকার আক্রমণে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে।
উপজেলা আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটু লকডাউন হলেও আমসহ বিভিন্ন কাঁচামাল বাজারজাতের ব্যাপারে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর ৯০ শতাংশ গাছে আমের মুকুল এলেও আবহাওয়াজনিত কারণে আম গাছে গুটি কম এসেছে। তার পরও ফলন ভালো হবে বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement