১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চুরির অপবাদে গাইবান্ধার কিশোরকে অমানুষিক নির্যাতন

-

বাবার অভাবী সংসারে একটু সচ্ছলতা আনার জন্য ঢাকায় ধানমন্ডির একটি প্রতিষ্ঠানে স্টোরকিপারের চাকরি নিয়েছিল গাইবান্ধার কিশোর আশরাফুল ইসলাম (১৬)। কাজে যোগদানের পাঁচ দিনের মাথায়ই চুরির অপবাদে তার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। গত বুধবার নির্যাতিত কিশোরকে ভর্তি করা হয় গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে। নির্যাতনের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে ।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দেয় কিশোর আশরাফুল ইসলাম। এ সময় বুক চাপড়িয়ে বিচার দাবি করেন আশরাফুল ইসলামের বাবা বিক্রেতা আবদুল আজিজ। নদীভাঙনে সর্বহারা ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা আবদুল আজিজ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের মধ্য ফলিয়া গ্রামে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করেন।
জানা যায়, গত ৩১ মার্চ আশরাফুলকে ঢাকায় নিয়ে যান প্রতিবেশী রাকিব। পয়লা এপ্রিল ধানমন্ডিতে ‘কিডস ফ্যাশনশো’ নামে একটি দোকানে স্টোরকিপার পদে চাকরি হয় রাকিবের মাধ্যমে। কিন্তু আট হাজার টাকা চুরির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক আমির আব্বাস রহিত ও কর্মচারী মিজান তাকে বেদম মারধর করে বলে অভিযোগ আশরাফুলের। অনেক অনুনয় করেও রক্ষা অমানুসিক নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ওই কিশোর।
এ দিকে অভিযুক্ত আমির আব্বাস রহিতকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইলে যোগাযোগ করলে মারধরের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত কর্মচারী মিজান। সে বলে, চুরির অপরাধে তাকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে মারধর করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম জানায়, গত ৫ এপ্রিল সোমবার রাতে টানা দেড়ঘণ্টা নির্যাতনের পর তার স্বাক্ষর ও ভিডিও স্বীকারোক্তি নেয়া হয়। আশরাফুলের বাবার কাছ থেকে বিকাশে টাকা নেয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয় তাকে। সে আরো অভিযোগ করেন, প্লাস দিয়ে আঙুল চেপে ধরে কাঠের বাটাম আর হকিস্টিক দিয়ে দেড়ঘণ্টা পেটানোর পর শরীরে গরম পানি দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার স্বীকারোক্তি নেয়া হয়।
বিষয়টি জানার পর গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান ঘটনাস্থল যেহেতু ধানমন্ডি থানা এলাকায় তাই সেই থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন ।


আরো সংবাদ



premium cement