১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাঙ্গাবালী থানা সড়ক খানাখন্দে ভরা

-

দীর্ঘদিনে সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ না করায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানা সংলগ্ন সড়কটি এখন মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের ইটগুলো উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাশেই বিপজ্জনকভাবে ছাড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ইটের টুকরো। এর মধ্য দিয়েই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ দিকে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজে পড়–য়া শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীকে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী থানা থেকে শুরু করে পূর্ব বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কটির দেড় কিলোমিটার ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এইচবিবি দ্বারা নির্মাণ করে এলজিইডি। পরে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাকি এক কিলোমিটারও এইচবিবি সড়ক করা হয়। এতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়। যে কারণে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই সড়কের ইটগুলো ভেঙে ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর আর সড়কটি সংস্কার করা হয়নি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ সড়কটির ওপর নির্ভরশীল বাহেরচরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী হাইওয়ে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোটবাইশদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ও আমলীবাড়িয়া সিনিয়র মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটিতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে না পারায় দূর থেকে এসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে। এই দুর্ভোগের কারণে অনেকের বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া। শুকনো মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়াও প্রান্তিক এ এলাকার মানুষ কৃষিনির্ভর হওয়ায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদর, জেলা সদর ও গলাচিপা নিয়ে যেতে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করেন। সড়কটিতে বড় বড় খানাখন্দ থাকায় যানবাহন মালিকরা কৃষিপণ্য বহন করতে অপারগতা প্রকাশ করে থাকেন। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের মাঝখানের অংশ যেন কূপ বা জলাশয়ে পরিণত হয়। প্রতিনিয়তই সেখানে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তালেব ফকির জানান, সড়কটির করুণ অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারা ব্যবসার মালামাল ঠিকভাবে আনা-নেয়া করতে পারেন না। যা পারা যায় তাও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। এ কারণে তাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এমনকি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ও ভাটা পড়েছে। তাই সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির জানান, সড়কটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তার বরাদ্দ থেকে অর্থ দেয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছেন। বরাদ্দ পেলে সড়কটি পুনঃনির্মাণ করা হবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement