২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরাজগঞ্জে চুরি যাওয়া দুই নবজাতক উদ্ধার, আটক ৭

-

সিরাজগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার সাখয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া দুই নবজাতকের একজনকে জীবিত আরেকজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামের রবিউলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
একই সাথে নবজাতক চুরি চক্রের রবিউল (৩০), তার স্ত্রী মায়া খাতুন (২০), মা সায়রন বেওয়া (৫৫), বোন আলপনা খাতুন (২৪), চাচী মিনা খাতুন (৫২) এবং একই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শরিফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া শিশু দু’টির মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া শিশুটি মৃত এবং অপর শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, শনিবার বিকেলে হাটিকুমরুলল গোলচত্বর এলাকার ওই হাসপাতাল থেকে বিকেল সোয়া ৩টায় এক নবজাতক চুরি করে নিয়ে যায়। এক নারী এসে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন এবং আদর করে তার বুকের দুধ খাওয়াতে থাকেন। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে শিশুটির নানীকে তার মেয়ে কেমন আছে, সেটি দেখে আসার কথা বলেন ওই নারী। বিশ্বাস করে শিশুটিকে ওই নারীর কোলে রেখে তিনি পাশের কক্ষে যেতেই ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। শিশুটি জেলার তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের মাজেম মোল্লা (৩৫) ও সবিতা খাতুন (৩০) দম্পতির সন্তান। তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
অপর দিক গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগ থেকে মৃত নবজাতকটি চুরি হয়ে যায়। শিশুটি জেলার উল্লাপাড়া ভাদালিয়া কান্দি গ্রামের চয়ন ইসলাম ও মঞ্জুয়ারা খাতুন দম্পতির সন্তান। নবজাতকটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই দিন দুপুরে হাসপাতালের শিশু বিভাগে অপরিচিত এক নারীর কাছে নবজাতকটিকে রেখে তার মা কাপড় শুকাতে হাসপাতালের ছাদে গেলে ওই নারী নবজাতকটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। নবজাতকটি নিওনেটাল সেপসিস রোগে ভুগছিল। এই শিশুটিকে পুলিশ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement