২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বড়াইগ্রামে নদী খননে অনিয়ম লুটপাট : এলাকায় উত্তেজনা

-

নাটোরের বড়াইগ্রামের পচা বড়াল নদী খননে অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। তাদের অভিযোগ, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির সুযোগে শিডিউল না মেনে নামকাওয়াস্তে চলছে খননকাজ। এতে নদী খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে। এসব অভিযোগে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নদী খননকাজ বন্ধ করে দেয়ার এক দিন পর পুনরায় গায়ের জোরে খননকাজ করছে ঠিকাদারের লোকজন। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, মেরিগাছা বাজার থেকে চিকনাই নদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পচা বড়াল নদীর খননকাজ চলছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ‘ভূ-উপরিস্থিত পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ খননকাজ চলছে।
শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, শিডিউল অনুযায়ী সমতল থেকে আট ফুট গভীরে নদী খনন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। নদীর পানি শুকিয়ে বা সেচ দিয়ে পানি অপসারণ করে খনন করার কথা থাকলেও তা না করে পানি রেখেই খনন করা হচ্ছে, এতে এক্সকেভেটর দিয়ে নদীর তলদেশে পানির নিচ থেকে কিছু কাদামাটি সরানো হচ্ছে মাত্র, প্রকৃত খননকাজ হচ্ছে না। পুরাতন পাড়ি ঢালু (স্লোপ) করে না কেটে নদীর তলদেশ থেকে তোলা কাদামাটি দিয়ে স্লোপ করা হয়েছে। এতে কাজ শেষ না হতেই একাধিক স্থানে স্লোপিং ভেঙে নদীতেই পড়ে গেছে। দুই তীরের মাটি কেটে নদীর পাড়ের উপরেই ফেলা হচ্ছে, যা সামান্য বৃষ্টি হলেই ধসে নদীতে নেমে যাবে। এতে নদী পুনরায় নদী ভরাট হয়ে খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে বলে দাবি ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার পরিচয় দানকারী খোকন হোসেন জানান, শিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে, তবে কোথাও কোথাও কাজের তারতম্য হতে পারে। এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদেরকে এ ব্যপারে সংবাদ না লেখার অনুরোধ করে তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহা বলেন, নদী খননে শিডিউল মানা হচ্ছে না। যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তা মানসম্মত নয়। এছাড়া নদীর পাড়েই মাটি ফেলায় বৃষ্টি হলে তা ধসে গিয়ে পুনরায় নদী ভরাট হয়ে যাবে।
প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বড়াইগ্রাম অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, পানি শুকিয়ে বা অপসারণ করে নদী খনন করার কথা। এছাড়া স্লোপিং ভেঙে যাওয়া ও পাড়ে রাখা মাটি ধসে পুনরায় নদীতে পড়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement