১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যমুনাশ^রী নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কা

-

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার যমুনাশ্বরী নদীর গতিপথে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কার পাশাপাশি কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের তরনীদাসপাড়া গ্রাম এলাকায় এক প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী মেসার্স সায়মা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে যমুনাশ্বরী নদীর গতিপথ রোধ করে অপরিকল্পিতভাবে নদীর উপর বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে বালু বহন করা হলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নদীর তীরবর্তী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত তরনীদাস পাড়া, চাঁনটাড়ী, পলিপাড়া মাসিমপুর গ্রাম এবং বালুয়া উচ্চবিদ্যালয়, বালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালুয়া মাসিমপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বালুয়া মাসিমপুর শাখাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যমুনাশ্বরী নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্পের আওতায় সেচ পাম্পে পানির অভাব প্রকট হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান, ভুট্টা, আলু, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে সেচ সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতন কৃষকরা। এতে করে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তরনীদাসপাড়া গ্রামের রমেশচন্দ্র বলেন, ‘ওরা নদী বান্দোছে গ্যাওটাত জল আইছা ডুইবা জাইবে, থাকমু কোথায়, যাইমু কোথায়, হামার তো থাহার জায়গা নাই।’ রনজিত দাস বলেন, ‘খ্যাতোত জল দিতো না হইলে ফলন হইবেক না।’ ধীরেন চন্দ্র বলেন, ‘ওরা নদী বান্দেছে হামরা কইলে হোনেন না।’ এ বিষয়ে মেসার্স সায়মা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement