হোসেনপুরে আলু ক্ষেতে মড়ক
- হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৩৫
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিএডিসির আলু বীজে চারা গজানোর ৩০-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ব্যাপকভাবে মড়ক দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এতে আলু গাছ মরে দিনে দিনে তাদের ক্ষেত ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা। তাতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন তারা। সূত্র জানায়, বিএডিসি থেকে ঋণে কৃষকরা আলু রোপণ করেন। কিন্তু আলু চারা মরে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধ নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন পাকুন্দিয়া থেকে আলু বীজ সংগ্রহ করেছেন। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এর দায়ভার বিএডিসি কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না। ফলে এ বছর আলু চাষে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে কারেছ, এসটারিক্স, ডায়মন্ড, কাডিনাল জাতের আলুর চাষ করা হয়েছে। কারেছ জাতের বীজ থেকে ভালো চারা গজালেও ডায়মন্ড, এসটারিক্স রোপণ করা আলুর চারা গজানোর কিছু দিনের মধ্যেই গাছ মরে যাচ্ছে। তবে ভিত্তি বীজের চেয়ে প্রত্যায়িত আলুর চারার মড়ক বেশি।
উপজেলার চরজামাইল এলাকার কৃষক ওয়াহিদ আহমদ জানান, তিনি ১২০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছেন। মড়কে তার ৩০ শতাংশ জমির আলু গাছ পচে গেছে। সজিব, এমদাদুলসহ একই গ্রামের একাধিক কৃষক জানান, আলু চারা গজানোর কিছুদিন পর থেকে আলুগাছ পচে যাচ্ছে। ওষুধ ব্যবহার করেও মড়ক ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিএডিসির ঋণ পরিশোধ করা তাদের এখন দুষ্কর হয়ে পড়বে।
বিএডিসি পাকুন্দিয়া জোনের পরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, কুষ্টিয়া থেকে সরবরাহ করা আলু বীজের দু-একটির ক্ষেত্রে এ রকম হয়েছে। দীর্ঘ সময় এক জমিতে একই ফসল চাষাবাদ করলে মাটির গুণাগুণ হারিয়ে ফেলে।
ফলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে মাটি দূষণে ফসলের এমন হতে পারে। তবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন জোনের পরিচালক ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা