২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খোয়াই নদীর চরে সবজি চাষ

খোয়াই নদী তীরে দৃষ্টিনন্দন কপিক্ষেত : নয়া দিগন্ত -

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার প্রাণ খরস্রোতা খোয়াই নদী। শুষ্ক মৌসুমে নদীটি স্রোতহীন নদী হয়ে পড়ে। নদীর দুই তীরে বেশ উঁচু উঁচু শুধু চর। এই চরে চাষ হচ্ছে নানা ধরনের শাক সবজি ও আখ। খোয়াই নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে কালনী এলাকায় গিয়ে মিলিত হয়েছে মেঘনায়। শুকনো মৌসুমে খোয়াই নদীর দুই পাশে বড় বড় চর জেগে ওঠে। এ চরের বুকে হাজার হাজার কৃষক তাদের স্বপ্নের ফসল চাষাবাদ করেন। যার মধ্যে রয়েছে আখ, সরিষা, গম, টমেটো, বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলুসহ নানা ফসল। ফসলে ভরে যায় নদীর দুই দিকের চরগুলো। এক দিকে পানি অন্য দিকে সবজির বাগান দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।
কৃষি বিভাগের মতে, নদীর দুই পাড়ে প্রায় ২৫ হাজার কৃষক শীতকালীন ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহের পথ তৈরি করেছেন। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার উবাহাটা, লেঞ্জাপাড়া, পুরানবাজার, আলাপুর, কালিগঞ্জ, চরহামুয়া, দক্ষিণ চরহামুয়া, কলিমনগর এলাকায় খোয়াই নদীর তীরে আঁখ, শিম, টমেটো, করলা, বেগুন, বরবটি, লাউ, কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ আরো অনেক সবজি চাষ করা হচ্ছে। এসব সবজি চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। চরের পাশেই নদীর পানি থাকায় এসব শাকসবজি চাষ করতে পানির জন্য বেগ পেতে হয় না। আগে যারা আখ চাষে উৎসাহী ছিলেন তারা অনেকেই এখন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত রয়েছেন। বাল্লা থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত খোয়াই নদীর দুই পাড়ে বিভিন্ন সবজি ও গাছের বাগান গড়ে তুলেছেন নানা পেশার মানুষ। চরে সবজি চাষ ছাড়াও নদীতে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
আলাপুর গ্রামের আল আমিন মিয়া জানান, খোয়াই নদী বুকে জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেছেন। এর মধ্যে মুলা আর মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। করোনায় আগে তিনি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। করোনায় সময় চাকরি চলে গেছে। এরপরে বাড়ির পাশে খোয়াই নদীর চরে সবজি চাষ শুরু করেন। প্রথমবারেই সাফল্য আসে মুলা চাষ করে। প্রায় ২৫ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছেন। এবার চাষ করেছেন মিষ্টি কুমড়ার। মিষ্টি কুমড়ারও বাম্পার ফলন হয়েছে। সাবাসপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম নদীর চরে ফুলকপি আর বাঁধাকপির চাষ করে লাখ টাকা আয় করছেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, এ বছর সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনার কারণে মানুষ সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আর বাজারেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছেন। এ কারণে আরো মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে সবজি চাষ করার জন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। অনেককেই পরার্মশ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুয়ায়ী চাষাবাদ করলে যে কেউ সফল হবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি চতুর্থ দফা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি : এবারের তাপদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজে হাজারো মুসুল্লির কান্না পোরশার নোচনাহারে আগুনে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে খুলনা বিভাগ ও ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ

সকল