২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভোটের জটিল সমীকরণ দেখা যেতে পারে সাতক্ষীরায়

-

সাতক্ষীরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ আশরাফুল হক। আওয়ামী লীগের মেয়র হিসেবেও তিনি প্রথম। পরপর দু’বার তিনি নির্বাচিত হন ভোটে। এর আগে বা পরে আওয়ামী লীগ ঘরানার কেউ নির্বাচিত হতে পারেনি সাতক্ষীরা পৌরসভায়।
এবারে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ আশরাফুল হকের ছেলে শেখ নাসেরুল হক। আওয়ামী লীগসহ মহাজোটভুক্ত দলের আর কোনো প্রার্থী নেই সাতক্ষীরা পৌরসভায়। অন্য দিকে সরকারবিরোধী পক্ষের প্রার্থী রয়েছেন চারজন। তারা হলেন বিএনপি মনোনীত বর্তমান মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, জেলা জামায়াতের নায়েব আমির স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাবেক জেলা যুবদলের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ডা: এস এম মুসতাফীজ উর রউফ। এর ফলে এখানে ভোটের হিসাব যেমন অনেকে জটিল বলছেন, আবার অনেকে বলছেন খুবই সহজ। পাঁচ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় নাকাল ছিল পৌরবাসী। শহরের নিম্নাঞ্চলের মানুষকে প্রায় ছয় মাস ধরে হাঁটুপানি ভেঙে চলাচল করতে হয়েছে। শহরের বেশির ভাগ রাস্তা ছিল চলাচলের অনুপযোগী। যদিও তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে পৌরসভার কিছু রাস্তার সংস্কারের কাজ উদ্বোধন করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলররা। পৌরসভার নিম্নাঞ্চলে বছরজুড়ে ছিল সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট। তাই এবারের সাধারণ জনগণ পৌরসভার উন্নয়ন চায়। তারা চায় না জলবদ্ধতা, চায় না হাঁটুপানিতে চলতে ফিরতে। ড্রেনের দূষিত ময়লা-আবর্জনা রাস্তার উপরে ও বাড়ির উঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবেÑ এটাও তারা চায় না। সুপেয় পানির জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন আর করতে চায় না। তারা চায় নাগরিক সেবা। এখনই সুযোগ সময় এসেছে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেয়ার।
এ দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ নাসেরুল হক সাবেক মেয়র আশরাফুল হকের ছেলে হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক। সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির ভোটের বড় অংশটাই নৌকায় যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। তবে যেগুলো নৌকায় যাবে না, সেগুলো বাকি চার প্রার্থীর প্রতীকে ভাগ হতে পারে। সব মিলিয়ে নৌকার অবস্থান এবার অনেক শক্ত হবে মনে করেন অনেকে।
এ দিকে বিএনপি প্রার্থী তাজকিন আহমেদ চিশতির সম্বল মানুষের সাথে সদালাপ। পৌরসভায় গেলেই তার হাসি মুখের কথা ভোলেননি কেউ। যদিও আশানুরূপ উন্নয়ন করতে পারেননি সরকারবিরোধী মেয়র হওয়ায়। তা ছাড়া সরকারি দলের যাদের ঘিরে তিনি নির্বিঘœ থেকে ছিলেন গত ৫ বছর তাদের কর্মকাণ্ডের দায়ভার তাকে বহন করতে হচ্ছে। এর পরও বেশ সুবিধাজনক স্থানে থেকে জামায়াত পৃথক প্রার্থী দেয়ায় হিসাবটা গোলমেলে হয়ে গেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু গত নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। ভোটের পর থেকে বসে ছিলেন না। এলাকায় এলাকায় গেছেন সবসময়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সাহায্য সহায়তা করেছেন। ফলে তাকে কেউ ছোট করে দেখছেন না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন নুরুল হুদা। ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা জেলায় সহিংসতার পর অনেকে জামায়াতের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে বলে মনে করলেও এবারের পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল