১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দশমিনার শতাধিক খাল এখন ফসলি জমি

-

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পর্চা ম্যাপের শতাধিক খাল এখন ফসলি জমি। ভূমিদস্যুদের লোলুপদৃষ্টি আর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পানি চলাচল ও পয়ঃনিষ্কাশনের মাধ্যম খালগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় সালিস বৈঠকে ব্যবহৃত সিএস ম্যাপে উপজেলায় দেড় শতাধিক খরস্রোতা খাল থাকলেও বাস্তবে ভূমিখেকোদের খপ্পরে এগুলোর জলধারা স্তব্ধ হয়ে গেছে। খালের স্থানে শোভা পাচ্ছে ফসল জমি ও মাছ চাষের পুকুর। এসব খাল দিয়ে সাগরের পলি বয়ে আসত আর বাড়ত ফসলি জমির উর্বরতা।
ভুক্তভোগী কৃষক ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়ায় তেঁতুলিয়া নদী ও শাখা খালের স্রোতে ভেসে আসা আসা পলিতে পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদিত হতো। বুড়াগৌরাঙ্গ নদ ও শাখা খালের পলি পড়তো দশমিনা, রণগোপালদী ও চরবোরহানের গ্রামগুলোর ফসলি জমিতে। ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভূমিদস্যুরা নামে-বেনামে খাল বন্দোবস্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া অপরিকল্পিত বাঁধ ও কালভার্ট নির্মাণ করায় খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা হলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আর শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় তীব্র পানি সঙ্কট। জলাবদ্ধতা ও পানি সঙ্কটে ফসল ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাঝখানের খালটি এখন ব্যস্ততম আবাসিক এলাকা ও সরকারি দফতর। শহরের প্রাণকেন্দ্রে হাঁটার সময় এখন কেউ জানবেন না এটি একসময়ের ছয়ঘর খাল। লক্ষ্মীপুর গ্রামের জমিদার নিবারণ রায়ের খালটি ১০-১৫ হাত পানি থাকাবস্থায় বন্দোবস্ত দিয়েছে ভূমি অফিস। বন্দোবস্তপ্রাপ্তরা খালটি ভরাট করে বোরো ধান চাষাবাদ করছেন। এই খাল দিয়ে প্রায় তিন হাজার একর জমির পানি উঠানামা করত। উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর খাল, আবুতারা খাল, গাজীপুরা খাল, গয়নাঘাট খাল, পূর্ব লক্ষ্মীপুর বাবুর খাল, আলীপুর ইউনিয়নের কেয়ার খাল, ইঞ্জিনিয়ার নারায়ণ খাল, শিংবাড়িয়া খাল, গুলবুনিয়ার খাল, রণগোপালদী ইউনিয়নের কাটাখাল, নাপ্তার খাল, তালতলার হোতা খাল স্থানীয় প্রভাবশালীরা বন্দোবস্ত নিয়েছে। এসব খাল প্রভাবশালীরা দখল করে মাটি ভরাট ও বাঁধ দিয়েছে। ফলে প্রতি বছর জলাবদ্ধতা ও পানি শূন্যতায় নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার একর জমির ফসল। বাঁধ ও অপরিকল্পিত কালভার্ট নির্মাণের ফলে বুড়াগৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে পলিমাটি আসতে পারছে না। ফলে ফসলি জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের শতাধিক খাল কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস জানান, উপজেলার খাল খননের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। আর খালগুলো দখলমুক্ত করা হবে। কেউ সরকারি খাল দখল করে নিতে পারে না।


আরো সংবাদ



premium cement
আরো দুই সদস্য বাড়িয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন রাবির নতুন জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে অপরাধ না করেও আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে নেমে শিশুর মৃত্যু ধূমপান করতে নিষেধ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বড় বোনের বৌভাতের গিয়ে দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত কোটালীপাড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত চুয়াডাঙ্গা দর্শনায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের কবর জিয়ারত করলেন জামায়াত আমির আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যায় ওমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠস্বর

সকল