২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পোরশায় কীটনাশকে বোরো চারা নিধন অনিশ্চিত ২০০ বিঘার আবাদ

-

নওগাঁর পোরশা সোমনগর, দেউপুরা, সুতলী ও ধামানপুর গ্রামের ১৬ জন কৃষকের ২ একর জমির বোরো ধানের চারা বিষাক্ত কীটনাশক দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই চারায় প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদের সম্ভাবনা ছিল। কীটনাশক প্রয়োগে ধানের চারা নষ্ট করে ফেলায় আবাদের জমিগুলোতে আর বোরো আবাদ করা যাবে না। এতে উপজেলার বোরো আবাদে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, চার গ্রামের ১৬ জন কৃষক তাদের জমিতে রোপণ করার জন্য প্রায় দুই একর জমিতে ৩০ মণ বোরো ধানের চারা বোনেন। চারাগুলো জমিতে রোপণের জন্য তৈরিও হয়েছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা রাতে চারাগুলোতে কীটনাশক প্রয়োগ করার ফলে সব চারা ঝলসে গেছে। স্থানীয় একাধিক কৃষক জানান, কীটনাশক প্রয়োগ করে ঝলসে যাওয়া চারাগুলো জমিতে আর রোপণ করা যাবে না।
আবদুল মালেক শাহ্, মনিব-আল-রাজি মুন্নু, আনারুল সোনার, মজিদ সোনার ও ধীরু উরাওসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, তারা নিজেদের জমিতে রোপণের জন্য বোরো চারা বুনেছিলেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা চারাগুলোতে কীটনাশক ছিটিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে তারা তাদের ২০০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হবে। একই সাথে তারা বড় অঙ্কের ক্ষতির শিকার হবেন বলেও জানিয়েছেন। তারা আরো জানান, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ থাকায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে ১৬ জন কৃষক একত্রে থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও তারা জানিয়েছেন।
পোরশা থানার ওসি শফিউল আজম খাঁন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম জানান, চারায় কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়টি তার জানা নেই। দুই একর জমির চারা প্রায় ১৫০ বিঘা বা ২০ হেক্টর জমিতে রোপণ করা যায়। ওই ২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা না হলে তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তবে তিনি ফলন বেশি না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারা রোপণের সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল