মিঠাপুকুরে অবৈধ মাড়াইকলে আখ মাড়াই
- শাহীন মণ্ডল মিঠাপুকুর (রংপুর)
- ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০২:১২
রংপুরের শ্যামপুর চিনিকল বন্ধ থাকায় মিঠাপুকুর উপজেলায় অবৈধ মাড়াইকলে চলছে (পাওয়ার ক্রাশার মেশিন) আখ মাড়াই। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিন-রাত মাড়াই কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারি সিদ্ধান্তে লোকসানের বোঝা কমাতে দেশের ছয় চিনিকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর চিনিকল অন্যতম। এই চিনিকলের আওতাভুক্ত মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে আবাদ হয় ব্যাপক হারে আখ। কল বন্ধ হওয়ার পর চিনিকল এলাকায় চলছে শ্রমিক-কর্মচারি ও আখ চাষিদের আন্দোলন। উৎপাদিত আখ নিয়েও চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী চিনিকলের আওতাভুক্ত এলাকায় অবৈধভাবে পাওয়ার ক্রাশার মেশিনে আখ মাড়াইয়ে নেমেছেন।
সরেজমিন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ও যমুনেশ্বরী নদীর চর ঘুরে আখ মাড়াইয়ের এমন চিত্র দেখা গেছে। যেখানে অন্তত শতাধিক মাড়াই মেশিন স্থাপন করে চলছে আখের রস সংগ্রহ। সেই রস বড় চুল্লিতে কড়াইয়ে বসিয়ে জাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গুড়। এবার অনেকেই নতুন করে পাওয়ার ক্রাশার মেশিন স্থাপনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বালুয়া মাসিমপুরের আবদুর রহমান বলেন, ‘সুগারমিল বন্ধ। সেই জন্যে কুশার (আখ) কাজে নাগাওছি। আর গুড়ের চাহিদাও বেশি। প্রতি কেজি গুড় পাইকারী ৭০ টাকায় বিক্রি হওচে। যে অবস্থা এবার মনে হচ্ছে বৈশাখ মাস পর্যন্ত কুশার মাড়াই করা যাইবে’। একই পলিপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিন বলেন, ‘নিজের জমির কুশার। মিল বন্ধ হইচে সেই জন্যে মেশিনোত কুশার মাড়াই করোছি। ৮০০ কেজি আখে ৫৬ কেজি গুড় হয়। দিনে কমপক্ষে ছয় মণ গুড় তৈরি করা সম্ভব।’
বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হাসিয়া গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে গুড় মাড়াই। যমুনেশ্বরী নদীর তীরে মাড়াইকারী জয়নাল আবেদীন জানান, আখগুলো তার নিজের জমির। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় অন্তত ১০ থেকে ১৫টি স্থানে আখ মাড়াই চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা