যশোরে খেজুর গুড় ও নলেন পাটালি বেচাবিক্রিতে ধুম
- শেখ জালাল উদ্দিন যশোর অফিস
- ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০১:২৪
‘যশোরের যশ, খেজুর গুড়ের রস’। এখানকার খেজুর রস থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নত মানের গুড়। এই খেজুর গুড় ও নলেন পাটালির রয়েছে দেশজুড়ে খ্যাতি। খেজুর গুড় ও নলেন পাটালি বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে উঠেছে যশোরের মনিরামছুর উপজেলার রাজগঞ্জ হাট। দূর-দূরান্ত থেকে হাটের দিনে এখানে ছুটে আসছেন ব্যাপারীসহ হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ৮ উপজেলায় ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫১৪টি খেজুর গাছ আছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ১ হাজার ৫০০ লিটার রস উৎপাদন হয়। গত বছর জেলায় ৪ হাজার ৬৪ টন গুড়-পাটালি এবং প্রায় ২ হাজার ৫৬০ টন রস উৎপাদন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গরুর হাটের মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কৃষকরা গুড়ভর্তি মাটির কলস (ভাঁড়) নিয়ে বসে আছেন। বাতাসে ভেসে আসছে মিষ্টি গন্ধ। ক্রেতারা লোহার শিক দিয়ে গুড় ও পাটালি ভেঙে মুখে পুরে পরীক্ষা করছেন। দরদাম ঠিক হলেই গুড়ের কলসগুলো মাঠের এক পাশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০ কেজি ওজনের প্রতিটি কলস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ১৫ থেকে ১৬ কেজি ওজনের কলস ১ হাজার ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নলেন পাটালি প্রতি কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের দাবি, মৌসুমের শুরুর দিকে অসাধু কিছু লোক গুড়ে চিনি মিশিয়ে বিক্রির পাঁয়তারা করেন।
হাট ইজারাদার জানান, মৌসুমে তিন থেকে সাড়ে তিন মাস হাটের দিন ৫০ থেকে ৭৫ টন খেজুর গুড় ও পাটালি বেচাকেনা হয়, যার বিক্রয় মূল্য ৫০ লাখ টাকারও বেশি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা