২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসাসেবা থমকে আছে নির্মাণকাজ

-

এক যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কাউখালী উপজেলাবাসীর চিকিৎসাসেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন নির্মাণ ও বর্তমান ভবনের মেরামতকাজ না হওয়ায় ভবনটির এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। এরই মধ্যে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ থেকে পানি পড়া, সিলিং ও বিম থেকে কংক্রিট খসে পড়া, সার্বক্ষণিক প্লাস্টার খসে পড়া প্রতিদিনকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, অনিয়ম আর অব্যস্থাপনার কারণে বন্ধ রয়েছে কমপ্লেক্সটির ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণের কাজও। চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আবাসস্থলের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। সেখানে চিকিৎসক সঙ্কটও দীর্ঘ দিনের। মোট ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র পাঁচজন চিকিৎসক। ঠিকাদারের করা মামলার কারণে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হাবিবুর রহমান।
সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন কক্ষের ছাদ ও পিলার থেকে কংক্রিট খসে পড়ে ভুতুড়ে ভবনের রূপ নিয়েছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ভবনের জরুরি বিভাগ, ল্যাবরেটরি কক্ষ, আইএমসিআই রুম, রোগী ওয়ার্ডের অবস্থাও খুবই নাজুক। ওইসব কক্ষে প্রবেশ করে রোগী, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা আতঙ্কে থাকেন। সেবা নিতে আসা কেউন্দিয়া গ্রামের সাথী আক্তার বলেন, কিছুক্ষণ আগে করিডোরে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় ওপর থেকে মাথার ওপর থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হাবিবুর রহমান বলেন, কমপ্লেক্স ভবনের মেরামতসহ ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৮ সালে মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ, উত্তর আলেকান্দা, বরিশালকে কার্যাদেশ দেয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার মেরামতের কাজ ও ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নি¤œমানের মালামাল দিয়ে কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দফতরে আপত্তি জানালে প্রকৌশল বিভাগ কাজের মান ভালো না হওয়ায় আপত্তি দিলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে ভবন নির্মাণ ও মেরামতকাজ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হাবিবুর রহমান জানান, তিনি এক বছর আগে এ উপজেলায় যোগদান করেন। ভবনের অবস্থা বর্ণনাতীত। নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে একযুগ ধরে। মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে দেয়া কার্যাদেশ বাতিল করায় তিনি আদালতে মামলা করেছেন। মামলা করায় নতুন করে টেন্ডারও দেয়া যাচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা: হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, নির্মাণকাজের টেন্ডার হবে। বর্তমানে কোনো অবস্থায় রয়েছে এমন এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ফাইল মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এলাকার সন্তান এক সেনাকর্মকর্তা বিষয়টি দেখছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্মাণকাজের ঠিকাদার নূর এন্টারপ্রাইজের মালিক নাসির উদ্দিন লিটু জানান, যে সমস্যা ছিল তার অবসান হয়েছে। শিগগিরই টেন্ডার হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement