২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মির্জাগঞ্জে বেড়েরধন নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু

-

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দোকলাখালী বাজার এলাকায় বেড়েরধন নদীর ওপর লোহার সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় দুই উপজেলার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুর মাঝ থেকে স্লিøপার ভেঙে পড়ার কারণে এখন সেতুটি মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশা বাজার এলাকা ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে দোকলাখালী জলিশা বাজার এলাকায় বেড়েরধন নদীর ওপর এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সূত্র জানায়, পটুয়াখালী থেকে খুলনাসহ পশ্চিমাঞ্চালের হাজার হাজার মানুষ এখানে এসে দুর্ভোগে পড়ে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। পটুয়াখালী-বরগুনা-বাগেরহাট ও খুলনার সাথে সরাসরি সহজ যাতায়াতের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এই একটি পুরনো লোহার সেতুটি। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ থাকায় মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা, টেম্পো ও ছোট যাত্রীবাহী যানবাহন পরাপার বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৪-৯৫ সালে এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ করলেও প্রায় দুই যুগ ধরে সংস্কার করা হয়নি। এক সময় পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে বেড়েরধন নদী হয়ে বরগুনা, বেতাগী পিরোজপুর, ঝালকাঠি জেলা সদরে লঞ্চ যোগাযোগের জন্য সেতুটি উঁচু করে নির্মাণ করা হয়। এ কারণে সেতুর বিম অ্যাঙ্গেল বেঁকে মাঝে মাঝে সøাপ না থাকায় স্থানীয়রা গাছ দিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি দিয়ে পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে মির্জাগঞ্জের মোকামিয়ায় বিষখালী নদীর খেয়া পার হয়ে সহজ পথে পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনায় যাতায়াত করা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, ভাঙা ও জোড়াতালি দেয়া সেতুতে পথচারীদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। সেতুটি দু’পাশ থেকে ভেঙে গেছে। সিমেন্টের তৈরি সøাপগুলো ধসে পড়ায় কোনো যানবাহন পারাপার হতে পারছে না। স্থানীয়দের উদ্যোগে কাঠের পাটাতন দিয়ে সাময়িকভাবে মেরামত করা হলেও তাও ভেঙে গেছে।
দোকলাখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার বলেন, বেড়েরধন নদীর ওপর সেতুটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার মানুষ। শুধু শুনি টেন্ডার হবে। মাটি টেস্ট করছে। কিন্তু মেরামত বা নতুন সেতু কবে হবে জানি না।
উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, বেড়েরধন নদীর ওপর লোহার সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ সেতু দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব। সেতুটি নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যম্যে অনুমোদন করা হয়েছে। দু’টো সেতুর কাজ শুরুর লক্ষ্যে মাটি টেস্ট হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে নতুনভাবে সেতুর কাজ শুরু করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement