২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জনবল সঙ্কটে ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা

-

ঘড়ির কাঁটায় সময় বেলা ১১টা। হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা: মুনীরা ইয়াসমীনের চেম্বারের সামনে অপেক্ষমাণ পাঁচ থেকে ছয় রোগী। বাইরে রোগী থাকলেও চেম্বারের ভেতরে ডাক্তার নেই। দীর্ঘ সময় ধরে আগত রোগীরা অপেক্ষায় থাকলেও কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ পাননি বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সেবাগ্রহীতারা।
দেখা যায়, চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে কিছু রোগী চলে গেলেও বেশির ভাগ রোগী চিকিৎসকের অপেক্ষায় চেম্বারগুলোর সামনে অবস্থান করছেন। একই অবস্থা হাসপাতালের প্রায় বেশির ভাগ চেম্বারের। ভুক্তভোগীরা এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসকসহ জনবল সঙ্কটের কারণে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা। উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি ২০১৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনো সেই ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। ৫০ শয্যার জনবল তো দূরের কথা ৩১ শয্যার জনবল কাঠামোর বেশির ভাগ পদই শূন্য। ৩১ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা। আছেন মাত্র চারজন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির এক্সরে যন্ত্রটি বিকল। এ কারণে চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি দুই বছরের শিশু রিহান হোসেনের মা রিতু আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রিহানকে এখানে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্টে তাকে নেবুলাইজার দিতে হয়। তখন ডাকতে গেলেও সেবিকাদের কাউকে পাওয়া যায় না। পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি আবদুল খালেক নামের এক ব্যক্তি বলেন, সারা দিনে একবারের বেশি নার্সের দেখা পাওয়া যায় না।
জানতে চাইলে সেবিকা রাবেয়া সুলতানা বলেন, দিন-রাত তাদের দু’জনকে সেবা দিতে হয়। এরপর তিনি মা হতে চলেছেন। খুব বেশি ছোটাছুটি করতে পারেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সৌমেন চৌধুরী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও সেবিকা নিয়োগ না দিলে চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব নয়। সেবিকা নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement