২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অতিথি পাখির কলরবে মুখর করতোয়া

-

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের শাহ শরিফ জিন্দানির (রহ:) পুন্যভূমি নওগাঁয় ছোট করতোয়া নদী এবারো অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। অতিথি পাখি এসেছে চলনবিল তথা এলাকার ছোট বড় নদী খালে। শীতপ্রধান দেশ বিশেষ করে সাইবেরিয়া থেকে বালিহাঁস, খয়রা, পানকৌর, চকাচকি, বুনোহাঁস, কাদাখোঁচা ও সরালি জাতের পাখি চলনবিলের করতোয়া নদীতে এসেছে।
ঐতিহাসিক তথ্য ও স্থানীয় বয়স্ককদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলমান জলরাশির কারণে এ বিলের নাম হয় চলনবিল। ব্রিটিশ শাসনামলে ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ ও ঈশ্বরদী-চিলাহাটি রেলপথ নির্মাণের ফলে প্রথম চলনবিল দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে। এরপর মহাসড়ক, সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে একে একে বিলটি আরো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। আশির দশকে আরো ব্যাপকভাবে পাল্টে যেতে থাকে চিত্র। বোরো আবাদের বিস্তার আর খালবিল সেচে শুকিয়ে চলতে থাকে মাছ ধরা। এ প্রেক্ষাপটে জীববৈচিত্র্য ইতোমধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। পাখি হারাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কমেছে অতিথি পাখির আনাগোনা। কিন্তু হঠাৎ করেই গত বছর থেকে চিত্র পাল্টে যেতে থাকে। চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছির জয়সাগর ও নয়াপুকুর, তাড়াশ উপজেলার নওগাঁওয়ে অবস্থিত ছোট করতোয়া ও মথুরাদীঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখি ছাড়াও দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
সরেজমিন দেখা যায়, ছোট করতোয়া নদীতে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ভেসে বেড়াচ্ছে। তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে এ এলাকা। দলে দলে পাখিরা পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। আহারে বিরতি দিয়ে ছোট পানকৌড়ি বসছে নদী তীরে গাছের ডালে। দিনভর নদীতে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে সাদা বক, ধূসর বক ও মাছরাঙ্গা। মাঝে মধ্যে গাঙচিলের আক্রমণে ঝাঁক বেঁধে উড়ে উঠছে পাখিগুলো। সবমিলিয়ে করতোয়া এখন পাখিদের কলকাকলীতে মুখর।
নওগাঁ গ্রামের ব্যাংকার আশরাফুল ইসলাম বাবলু বলেন, গত বছরের মতো এ বছর অনেক পাখি খাবারের আশায় চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় এসেছে। তবে নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে তারা জড়ো হচ্ছে করতোয়া নদীতে। এখানে গাছপালা বেশি থাকায় এটাকে পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় মনে করে। একই সাথে আমরা পাখি শিকার না করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সবাই মিলে অতিথি পাখি ও দেশীয় পাখির একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করছি।
চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে জরুরি কাজ হচ্ছে পাখিদের কোনোভাবে বিরক্ত না করা। এ ছাড়াও এই এলাকায় জনসচেতনতা বাড়াতে বিলবোর্ড, লিফলেট বিতরণ করা দরকার। আমরা এরই মধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবেও চলনবিল এলাকার পাখি রক্ষায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায় ইরান নিয়ে মার্কিন হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরাইলের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে হোয়াইট হাউস দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ

সকল