বাগেরহাটে শিশু অপহরণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
- বাগেরহাট সংবাদদাতা
- ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:১২
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামে মুক্তিপণের দাবিতে তিন মাসের শিশু আবদুল্লাহকে অপহরণ করে পরে মুক্তিপণ নিয়ে হত্যা মামলার তিন আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জেলা জজ নূরে আলম এ রায় দেন। বিচারক চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রায় প্রদানকালে তিন আসামি হৃদয় ওরফে রাহাত হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ও ফায়জুল ইসলাম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। আসামিদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের ১১ মার্চ রাত ৩টার দিকে মোরেলগঞ্জের বিশারীঘাটা গ্রামের রেশমা বেগম তার তিন মাসের শিশু আবদুল্লাহকে বুকের দুধ খাইয়ে স্বামী দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম সোহাগের সাথে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমন্ত মা-বাবার কোলের মধ্য হতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই দিনই অপহৃত শিশুর বাবা বাদি হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত অপহরণকারীদের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে শিশুটির মুক্তির জন্য মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। সন্তানকে ফিরে পেতে বাবা সিরাজুল ইসলাম সোহাগ অপহরণকারীদের চাহিদামতো ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণও দেন। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। সেই মোটরসাইকেল ও ঘর থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রধান আসামি হৃদয় ওরফে রাহাত হাওলাদারসহ অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ঘটনার সাত দিন পর প্রধান আসামি মো: হৃদয়ের দেখানো মতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের কাচারিবাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার এসআই আবদুল মতি দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে প্রধান আসামি হৃদয়সহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় আট কার্যদিবসে ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তিন ঘাতককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা