২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গজারিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা এখনো প্রকাশ না করায় ক্ষোভ

-

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক কমিটির তালিকা গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্ন, ৭৪ জনের একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেও কেন সেই তালিকা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে? এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, গজারিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগে কয়েক দফা আন্দোলন করার পরও এখন পর্যন্ত কোনো তালিকাই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কোনো তালিকা এখন পর্যন্ত কেন্দ্রে না পাঠানোর ফলে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের। আর এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদীকেই দায়ী করেন তারা।
আরো জানা গেছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের নামে ভুয়া সিল স্বাক্ষর দিয়ে একটি তালিকা জমা দেয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। সেই তালিকা জমা দেন মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার। যদিও মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর এই তালিকা জমা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বিএলএফ (মুজিববাহিনী) মুক্তিযুদ্ধকালীন সহকারী উপজেলা কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আ ক ম আখতারুজ্জামান কামাল জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গজারিয়া উপজেলা শত্রু মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিএলএফ তথা মুজিববাহিনীর। তবে পরিতাপের বিষয়, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৮ বছর পার হলেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি এ বাহিনীর অধীনে গজারিয়ায় যুদ্ধ করা অনেক মুক্তিযোদ্ধা।
এক দিকে রফিক ও তানেছ গ্রুপ, অপর দিকে রয়েছে সেকান্দর গ্রুপ। রফিক তানেছ গ্রুপের অভিযোগ সেকান্দরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভ্রান্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্কিত করছেন। এ বিষয়ে সেকান্দরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে প্রতিদিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তালিকা জামুকায় (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) পাঠানোর জন্য অনুরোধ করি; কিন্তু ইউএনও নিজের মতো কাজ করেন।’
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ইউএনও তাদের কথার কোনো মূল্য দিচ্ছেন না। তিনি কমিটির সদস্যসচিব হওয়ার কারণে তার ইচ্ছেমতো কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও হাসান সাদী মোবাইল ফোনে বলেন, আমি কমিটির সদস্যসচিব। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি যে লিস্ট করেছেন সেটির ওপর ভিত্তি করেই লিস্ট করা হয়েছে। বিষয়টি এখনো চলমান রয়েছে। সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে যাচাই-বাছাই করবেন সেভাবেই ফাইনাল লিস্ট হবে। এখানে আমার কোনো হাত নেই। তাদের অভিযোগ সঠিক নয়।


আরো সংবাদ



premium cement