২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরাজদিখানে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

-

সিরাজদিখানে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলা দিয়ে একটি পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দক্ষিণ পাউসার গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা এমন দাবি করেছেন। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই মামলা করা হয়েছে বলে পরিবারটি অভিযোগ করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মুন্সীগঞ্জ পিটিশন মামলার (মামলা নং-৩২৩/২০২০) বাদি একই এলাকার বাসিন্দা। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন যে, এ বছর ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তার চাচাতো বোনের স্বামী বাদল দেওয়ান (৪৭) বাদির ছয় বছরের শিশু মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তার মেয়ে কৌশলে আসামির ঘর থেকে বাইরে চলে আসে। অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে শিশুটির চিকিৎসা করানো হয়। ঘটনা জানাজানি হলে বাদল দেওয়ান তার স্ত্রীকে দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।
এলাকায় খেঁাঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মামলা দায়েরের পরে সিরাজদিখান থানা পুলিশ কয়ক দিন আগে এজাহারভুক্ত তাঁত কারিগর বাদল দেওয়ানকে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। জানা যায়, ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এটা লকডাউনের আগের ঘটনা। তখনো ময়েটি নিয়মিত স্কুলে এসেছে। খেলাধুলায় অংশ নিয়েছে। তবে বাদলের শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়াও মামলায় উল্লেখিত ঘটনার তারিখে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাড়িতে ছিলেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজির আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমার ছাত্রীর বাড়িতে যাই। তার মা আমাকে জানান, ঘটনার এক সপ্তাহ পরে মেয়ের ব্লিডিং হয়। তার কথা অনুযায়ী, দেশে লকডাউনের আগের ঘটনা এটি। তিনি বলেন, আমার জানামতে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত ছিল।
বাদল দেওয়ানের বড় ভাই রাজ্জাক দেওয়ান জানান, তার ছোট ভাই বাদলের শ্বশুরের কোনো ছেলে সন্তান না থাকার সুবাদে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে। সে ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে থাকছে। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তিনি বিশ্বাস করেন না। শ্বশুরবাড়িতে চাচাতো শ্যালকদের সাথে জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
বাদলের স্ত্রী পুষ্প কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার কোনো ভাই নেই। স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। চাচাতো ভাই নূরে আলম ও নুরুজ্জামানদের সাথে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। একটি পক্ষ বলছে, তাদের সাথে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ সমাধান করে ফেলো। তিনি দাবি করেন, জমি দখলে নেয়ার জন্যই তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের অনুরোধ করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাঞ্চনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মামলার বাদির কাছে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল নম্বরটি (০১৭২৩২৭৪৬৬৭) বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিরাজদিখান থানার এসআই আব্দুল করিম জানান, মামলা দায়েরের পরে আসামি গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার ভিক্টিমের মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাইনি। এখনো তদন্ত চলছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত

সকল