১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মির্জাপুরে রাস্তা বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা : অবরুদ্ধ এলাকাবাসী

-

মির্জাপুরে উচ্ছেদের পরপরই সরকারি স্কুলের জমি ও যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে রাতের আঁধারে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযাগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১০ নম্বর গোড়াই ইউনিয়নের ১২১ নম্বর সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন গোড়াই মমিননগর সৈয়দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আঞ্চলিক সড়ক গোড়াই-সখীপুর-ঢাকা সড়কসংলগ্ন ১২১ নম্বর সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর মৌজার ২৪৩৩ নম্বর দাগের ৯০৭ খতিয়ানের মধ্যে ৭০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ খানের ছেলে প্রভাবশালী আজম খান ও আনোয়ার মাস্টারসহ কিছু ব্যক্তি নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে রাস্তা বন্ধ করে রাতারাতি ভবন নির্মাণ করেছেন। আজম খানকে বারবার নিষেধ করার পরও রাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ নভেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীর্জা জুবায়ের হোসেন পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেন। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত আজম খান ও তার সহযোগীরা।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মোশারফ হোসেন, নুর মোহাম্মদ, মাজম আলী, লিয়াকত হোসেনসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ভূমিদস্যু আজম খানের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সরকারি রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পুরো গ্রামবাসী।
আজম খান ও আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সৈয়দপুর মৌজায় মজিদ খান, মোকছেদ আলী, কেশব সরকার ও গয়ানাথ সরকার বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করে দিয়ে সৈয়দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের পাশে তাদের জমি রয়েছে। তারা দাবি করেন, তারা বিদ্যালয়ের কোনো জমি জবরদখল করেননি। আজম খান বলেন, আমার নিজের রাস্তা ভাড়া দিয়েছিলাম। এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আমি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়দেব সরকার বলেন, এটা বিদ্যালয়ের জমি। এলাকার কিছু লোক বিভিন্নভাবে কাগজ তৈরি করে বিদ্যালয়ের জমি জবরদখল করে রেখেছে। বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধার ও রাস্তা দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীর্জা জুবায়ের হোসেন বলেন, রাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছিল। আবার রাতের আঁধারে রাস্তা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সম্ভাবনা সত্ত্বেও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে ঘাটতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী লাল গালিচা, ডুবুরি আর একলা সন্ন্যাসী রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে কিশোরীর মৃত্যু জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির মামলা কেএনএফ সদস্যদের আদালতে উপস্থাপন, ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, মর্টার শেলের শব্দে প্রকম্পিত সীমান্ত এলাকা হামলার ব্যাপারে ইসরাইল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে : নেতানিয়াহু ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সকল