হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
- ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের বিভিন্ন কাউন্টারে ভাংতি টাকা না থাকার বিড়ম্বনায় ফেলে যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এতে করে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর অসৎ কর্মচারীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও ঠকছেন যাত্রী ও চালকরা। প্রতিবাদ করলে অসৎ কর্মচারীদের হাতে যাত্রী ও চালকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রতিদিন প্রায় ২-৩ হাজার যানবাহন ও ৩০ থেকে ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। এ রুটের দুই পাড়েই রয়েছে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি পারাপার ও বিআইডব্লিটিএর টোল আদায় কাউন্টার। কাউন্টারগুলোর দায়িত্বে থাকা অসৎ লোকজনই চাঁদাবাজি করে থাকে।
গাড়িপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা ও জনপ্রতি পাঁচ টাকা বেশি নেয়ায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসৎ কর্মচারীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, ছোট, মাঝারি, বড়সহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও যাত্রীর ভাড়া আদায় চার্টে রয়েছে কৌশলী তালিকা। ওই তালিকা অনুযায়ী ভাংতি না থাকার অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা সহজ হয়। যেমন বড় আকারের বাস ও ট্রাকের ফেরি ভাড়া টিকিটের গায়ে ১৪৬০ টাকা লেখা থাকলেও আদায় করা হয় ১৫০০ টাকা, মাঝারি গাড়ির টিকিট ১১৫০ টাকা লেখা থাকলেও আদায় করা হয় ১২০০ টাকা। এসব গাড়ির চালকরা ভাংতি না দিয়ে আস্ত নোট টাকা দিলে অবশিষ্ট টাকা অনেক সময় ফেরত দেয়া হয় না। অনেক সময় তাড়াহুড়োর কারণে গাড়ির চালক বা মালিকরাও বাকি টাকা ফেরত নেয়ার আগ্রহ দেখান না। বলা হয়ে থাকে ভাংতি নেই। চালকরা অনেক সময় আপত্তি করলে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়। অবশেষে চালকরা দাঁড়িয়ে থেকে অবশিষ্ট টাকা ফেরত না পেয়ে বিরক্ত হয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে চালকরা বলেন, কাউন্টারে নোট দিয়ে টিকিটের মূল্য রেখে অবশিষ্ট টাকা ফেরত নেয়ার জন্য বেশি চাপাচাপি করলে কাউন্টারে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের হাতে তারা মারধরের শিকার হন। টোল আদায়ের টিকিটে নির্ধারিত মূল্য লেখা থাকলেও ভাংতি টাকা না থাকার অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর টোল কালেকশনের দায়িত্বে থাকা রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাউন্টারের ভিতরে দায়িত্বে থাকি। কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয় না। তবে চালকরা অনেক সময় টাকা ফেরত নেন না। তা ছাড়া বাইরে আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকেন তারা কী করেন জানি না। সোমবার সন্ধ্যার আগে অতিরিক্ত টাকা আদায় প্রসঙ্গে দায়িত্বরত কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ভাংতি না থাকার অজুহাত দেখিয়ে একই রকম উত্তর দেন।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের পোর্ট অফিসার কবির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে বলেন, আমি এ রুটে নতুন এসেছি অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা