আমতলীতে চাঁদা না দেয়ায় সরকারি বন্দোবস্ত জমিতে ঘর নির্মাণ বন্ধ
- জয়নুল আবেদীন আমতলী (বরগুনা)
- ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি নান্নু ডাক্তার ও তার সহযোগীদের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় সরকারি বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। শনিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এমন অভিযোগ করেন বন্দোবস্ত পাওয়া জমির মালিক সোহেল রানা, জুয়েল হাওলাদার ও আবু ছালেহ। এতে গত ১০ দিন ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরে।
জানা গেছে, ২০২০ সালে উপজেলার গাজীপুর বন্দরের চরপাড়া এলাকায় ১ নং খাস খতিয়ানে ১৫৩৮ নং দাগে ব্যবসার জন্য সোহেল রানা, জুয়েল হাওলাদার ও আবু ছালেহকে দেড় শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয় আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস। ওই জমিতে ব্যবসার জন্য গত ১১ নভেম্বর তারা ঘরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। নির্মাণকাজের শুরুতেই আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি নান্নু ডাক্তার ও তার সহযোগীরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করেন সোহেল রানাসহ অন্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিক লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা নির্মাণশ্রমিক মজিবর মুন্সিকে মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে সোহেল রানা বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ও সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী সার্কেল) সৈয়দ রবিউল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমতলী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত তামান্নাকে নির্দেশ দেন।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার ইকবাল হোসেন বলেন, যথানিয়মে ওই জমি তিনজনকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। তাদের ওই জমিতে ব্যবসার জন্য ঘর নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়।
আঠারোগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ বলেন, সরকারি জমি সরকার ডিসিআর দিয়েছে, এখানে কোনো ব্যক্তির হস্তক্ষেপ থাকার কথা না। নান্নু ডাক্তার কিভাবে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত তামান্না বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা