প্রশস্ত হচ্ছে বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়ক
- বাবুল পাটোয়ারী পাটগ্রাম (লালমনিরহাট )
- ২২ অক্টোবর ২০২০, ০০:১৩
লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাটগ্রাম-থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সংস্কার ও দুই পাশে প্রশস্ত করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে জিওবির অর্থায়নে ২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। যশোরের মঈনুদ্দীন বাঁশি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত বছরের মে মাস থেকে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসব কাজের মধ্যে আছে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বের রাস্তা ভেঙে নুতন করে শক্তিশালীকরণ এবং ১০ কিলোমিটার বাইন্ডার ও ওয়্যারিং কোর্স। এ ছাড়াও রাস্তার দু’পাশে তিন ফুট করে ছয় ফুট আরো প্রশস্ত করে সেগুলো এসবিবি করণ/হেরিং সোলিং রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ৪৬০ মিটার প্লাসাইটিং। তবে এসব কাজের বেশির ভাগ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বুড়িমারী বাজারে রাস্তার দু’পাশে এক হাজার ৮ শ’ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে।
জানা গেছে লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়ক হলেও এর রয়েছে তিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই সড়ক দিয়ে যে কেউ খুব সহজে রংপুর, ঢাকাসহ দেশের যেকোনো স্থানে খুব সহজে যেতে পারে। বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে বড়খাতা দিয়ে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ হয়ে রংপুর ও ঢাকা যাওয়া যায়। আবার ওই পথে না গিয়ে আরো সহজে অনেকে কাকিনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় তিস্তা সেতু পার হয়ে গন্তব্যস্থলে যান। তবে লালমনিরহাট দিয়েও ঢাকা যাওয়া যায়, তাতে সময় একটু বেশি লাগে। বুড়িমারী থেকে ঢাকা যাতায়াতের এই তিনটি পথই রংপুর মডার্ন মোড়ে ঢাকা মহাসড়কে গিয়ে মিলিত হয়েছে।
এ দিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, বেশির ভাগ চালক গতিপথ ও নির্ধারিত লোডিং মানছেন না। তারা ট্রাকে অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে গন্তব্যস্থলে ছুটে চলছেন। একটি সড়ক দিয়ে কী পরিমাণ পণ্য পরিবহন করা যাবে তা নির্ধারণ করা থাকে। কেউ এর অতিরিক্ত পরিবহন করলে ওই সড়কের স্থায়িত্ব থাকে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী মাহবুব আলম বলেন, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আমরা নির্মাণকাজ করছি। এতে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। আমার এসও আলমগীর হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় আমি নিজে সব তদারকি করছি। নির্মাণকাজ আগামী তিন বছর চলমান থাকবে। এ সময়ের মধ্যে রাস্তাটি কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঠিকাদার আবার সেটি ঠিক করে দেবেন। তবে এবারকার অতি বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি দু’পাশে কিছু স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা