ভোলাহাটে পানি বন্ধ করে মাছ চাষ : ১২ কোটি টাকার ক্ষতি দাবি
- ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ২২ অক্টোবর ২০২০, ০০:১২
ভোলাহাটে জলমহালের ইজারাদার পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়ায় ৬ শ’ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা। উপজেলার মুশরীভুজার ৭৫ জন ভুক্তভোগী কৃষক গত ১৫ অক্টোবর স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুশরীভুজা, চামামুশরীভুজা, নামোমুশরীভুজা, ঘাইবাড়ী, বারইপাড়া, জাগলবাড়ী ও রঘুনাথপুর মৌজার প্রায় ৬ শ’ বিঘা জমির আউশ ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
সূত্র জানায়, বিলভাতিয়া জলমহাল ইজারাদার সোনাজোলের ব্রিজের নিচে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়। এতে রোপণ করা আউশ ধান তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাশন বন্ধ না থাকলে ধানগুলো জেগে উঠত। কিন্তু জলমহাল ইজারাদাররা ব্যক্তিগতভাবে লাভের আশায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ করায় পানি নেমে যেতে পারেনি। ফলে প্রায় ৬ শ’ বিঘা জমির আউশ ধান পানির নিচে থাকায় চাষ করা রাক্ষুসে মাছ ধানগাছ খেয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে। এত ভুক্তভোগী কৃষকরা সর্বস্ব হারিয়ে এখন পথে বসেছেন। স্থানীয় কৃষক লোকমান আলী জানান, ধান নষ্ট হওয়ায় এ এলাকার প্রায় ১ শ’ পরিবারের ৫ শ’ মানুষকে অনেকটা না খেয়ে থাকাতে হবে। বিলভাতিয়ার ইজারাদারদের কারণে তাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
বিলভাতিয়ার ইজারাদার বজলুর রহমানের অংশীদার জেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাঁধ দিয়ে পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ব্রিজে কোনো বাঁধ দেয়া হয়নি। যেসব ধানের জমি ডুবে আছে সেগুলো প্রপোজালের জমি। সরকার জলাশয়ের জন্য লাল কালি দিয়ে বাতিল করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা