৩ বছরেও সুরাহা হয়নি শিশু তাহারাত হত্যার রহস্য
- শাহরাস্তি (চাঁদপুর) সংবাদদাতা
- ০২ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
চাঁদপুরের শাহরাস্তির শিশু তাহারাত হত্যার রহস্য তিন বছরেও সুরাহা হয়নি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশানের (পিবিআই) তদন্তে শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা ও ঘটনার সাথে জড়িত এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ওই শিশুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার সাথে আরো লোক জড়িত থাকতে পারে বলে দাবি করেছে শিশুর বাবা মনির হোসেন।
এ দিকে চলতি বছরের প্রথম দিকে তাহারাত হত্যাকাণ্ডের আদলেই ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে হত্যা করা হয় মাদরাসা ছাত্র মোকছেদুলকে (১৭)। তার সাথে জড়িত থাকায় তাহারাত হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি শাহরাস্তি উপজেলার সেতীনারায়নপুর গ্রামের আরিফ হোসেন, একই উপজেলার মোহাম্মদ রাজু (আরিফের বন্ধু) ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন চাকতাই এলাকার ফাহিমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব।
জানা যায়, চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের মনির হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম তাহারাত (১১) ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট নিখোঁজ হয়। পরে প্রবাসী নূরু ভূঁইয়ার বাড়ির পরিত্যক্ত রান্নাঘর হতে লাকড়ি ও খড়কুটা চাপা অবস্থায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে প্রায় আড়াই বছর সেতীনারায়নপুরের মফিজ মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন এলাকায় অনুপস্থিত থাকলেও তাকে নিহতের পরিবার বা পুলিশ কেউ সন্দেহ করেনি। চলতি বছরে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার মাস্টার বউবাজার বাউল সাহেবের বাড়ি থেকে আরিফকে আটকের পর বিষয়টি এলাকায় চাউর হয়। তাহারাত হত্যাকাণ্ডেও আরিফ জড়িত থাকতে পারে মর্মে পুলিশকে জানানো হলে ওই মামলায়ও তাকে আটক দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আরিফ জানায়, বিদেশ যাওয়ার টাকা জোগার করতেই তাহারাতকে অপহরণ করে সে।
এ দিকে মুক্তিপণের জন্য তাহারাতকে একাই আরিফ হোসেন হত্যা করেছে এ কথা মানতে রাজি নয় বাদি মনির হোসেন। তার দাবি, আরিফ একা তাহারাতকে হত্যা করতে সক্ষম নয়। আরিফের সাথে আরো লোকজন জড়িত থাকতে পারে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তার ছেলেকে আটক করা হলেও তার কাছে কেউ মুক্তিপণ দাবি করেনি। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দেখা গেছে তার মাথা হতে কোমর পর্যন্ত এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে। ঘটনার সময় ওই বাড়ির মঞ্জুর হোসেন বাবুর অটোরিকশার ব্যাটারি এসিড শূন্য ছিল। আরিফ বড় ভাইয়ের নাম না বলে এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বাঁচাতে চাচ্ছে। তিনি তার ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের খুঁজে বের করার দাবি জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা