২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাড়ছে পানি, ডুবছে কৃষকের স্বপ্ন

-

তৃতীয় দফা বন্যার থাবা থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগেই টানা বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চতুর্থ দফা বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারীবাসী। পানি বৃদ্ধির সাথে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল, ডুবছে কৃষকের স্বপ্ন। বুক ভরা আশা আর চোখে বড় স্বপ্ন নিয়ে মাঠে আমন ধান বুনলেও তা বন্যার পানিতে গেছে তলিয়ে। ডুবে গেছে কৃষকের দুই চোখ ভরা স্বপ্ন। বারবার বন্যায় আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত মানুষজন পড়েছে বিপাকে। কৃষকদের দিন কাটছে হতাশায়। আবারো পানিবন্দী হওয়ায় বিপাকে নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
জানা গেছে, তৃতীয় দফা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সদ্য বাড়িতে ফিরে বাড়িঘর ঠিক করতে না করতে আবারো টানা বৃষ্টি ও বন্যায় থাবায় দিশেহারা। শুধু তাই নয়, বারবার বন্যার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাও বুক ভরা আশা, চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে শক্ত হাতে নেমেছিলেন মাঠে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে চারা সংগ্রহ করে ফসল বুনেছিলেন। ছিল আশা, ছিল স্বপ্ন কিন্তু টানা বৃষ্টি ও চতুর্থ দফা বন্যার থাবায় সব তছনছ হয়ে গেছে। বৃষ্টি ও বন্যা সব নষ্ট করে দিয়েছে জানিয়ে মাছাবান্দা এলাকার কৃষক ফয়জার, নয়ারহাটের মাহফুজার বলেন, শুধু আমরা নই, এই এলাকার শত শত কৃষকের স্বপ্ন আর আশা ডুবিয়ে দিয়েছে চতুর্থ বারের বন্যা। তারা আরো জানান, অনেক কষ্ট করে চারা সংগ্রহ করে চড়া মূল্যে কামলা (শ্রমিক) দিয়ে আমন চাষ করেছিলাম কিন্তু বন্যা সব ডুবিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু ফয়জার, মাহফুজার নন, উপজেলার নয়ারহাট, অষ্টমীরচর, চিলমারী, থানাহাট ইউনিয়নসহ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শত শত হেক্টর জমির রোপা আমন নিয়ে কৃষকরা এখন দিশাহারা। দিশেহারা নিম্নাঞ্চলের মানুষ। মানুষজন দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিনাপাত করার পর বাড়িতে ফিরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত শুরু করতেই চতুর্থ দফা বন্যা তাদের বিপাকে ফেলেছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা।
এ দিকে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। টানা বৃষ্টিতে খেটে খাওয়া ও দিনমজুররা পড়েছে বড় বিপাকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কৃষকদের দুঃখ দুর্দশার কথা স্বীকার করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রণয় কুমার বিষাণ দাশ বলেন, উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৫০০ হেক্টরের বেশি রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে, তবে পানি কমে গেলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল