২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলাপাড়ায় সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নাগের ভারানী খালের উপর সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় সাঁকো বানিয়ে চলছে মানুষের চলাচল : নয়া দিগন্ত -

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে নাগের ভারানী খালের ওপর নির্মিত সেতুটির কাজ বন্ধ থাকায় কৃষক ও সাধারণ মানুষের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। নাগের ভারানী খালের ওপরের লোহার অবকাঠামোর তৈরি একটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর তা ভেঙে এখন নতুন একটি ‘গার্ডার সেতু’ তৈরি করার উদ্যোগ নেয়।
স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন করে যে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে তার দৈর্ঘ হবে ১৪৭ ফুট ৯ ইঞ্চি। প্রস্থ হবে ২৪ ফুট। এর ফুটপথ হবে দু’দিকে ৩ ফুট করে ৬ ফুট। চলাচলের জন্য মূল সেতুর জায়গা থাকবে ১৮ ফুট। ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও এ সেতুর তদারককারী কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন জানান, দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছে পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাশেম কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স পল্লী স্টোর্স। প্রতিষ্ঠান দু’টি ঠিকাদার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবরের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ করার সময় ছিল ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আবার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়। গত ৩০ আগস্ট ছিল শেষ সময়। সে সময়ও অতিবাহিত হয়েছে। যে কারণে কাজ শেষ করার সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের ৩ মার্চ। দরপত্র অনুযায়ী এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৩২ টাকা।
সরেজমিন দেখা গেছে, শুধু সেতুর তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পুরো কাজই বন্ধ। যার কারণে স্প্যানের ওপর থেকে বের হয়ে থাকা লোহার রডগুলো মরীচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাশে পড়ে থাকা কিছু মালামালও নষ্ট হচ্ছে। বিনামকাটা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম মুন্সী বলেন, ‘গত মে মাস থেকে এ সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। আমাদের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছিল। যে কারণে নিজেরা চাঁদা তুলে সেতুর পাশেই একটি বাঁশের সাঁকো বানিয়েছি।’
মাছুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘সেতুর এ অবস্থার কারণে কৃষকরা বাজারে নিয়ে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। মানুষ মালামাল পার করতে পারে না। বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে শিশু-বয়স্ক মানুষকে নিয়ে পার হতে কষ্ট হয়। গ্রামের মানুষের কী যে ভোগান্তি তা বলে শেষ করা যাবে না।’
চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, মাছুয়াখালী-কৃষ্ণপুর গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে, তবে এখন তা বন্ধ রয়েছে। শুধু খালের ভেতর স্প্যান বসিয়েই ফেলে রাখা হয়েছে। এখনো ৮০ শতাংশ কাজ বাকি। শুনেছি ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে কিন্তু কেনো করছেন না, তা আমরা বুঝতে পারছি না। কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে কয়েকবার সময়ও দেয়া হয়েছে, কিন্তু কাজ তো পড়েই আছে। বর্তমানে পুরো কাজ বন্ধ থাকায় গ্রামের মানুষের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা চাই জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে সর্বশেষ বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী যেন সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মোহর আলী বলেন, গার্ডার সেতুটির নির্মাণকাজ গত মে মাস থেকে বন্ধ রয়েছে এটা ঠিক। নকশা পরিবর্তন, ঠিকাদারের অসুস্থতা, প্রবল বর্ষণ এবং মহামারী করোনার কারণে এর নির্মাণ কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। যথাসময়ে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে আমরা অসংখ্যবার চিঠি দিয়েছি। সর্বশেষ নির্ধারণ করা সময়ের মধ্যে ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার জন্য আবারো চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ছেলে হারা মা সাথিয়ার কান্না যেন থামছেই না বৃষ্টির জন্য নারায়ণগঞ্জে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় প্রবাসী স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চান হাইকোর্ট আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরো ৪৬ বিজিপি সদস্য উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কক্সবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ

সকল