২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেঘনার ভাঙনে বিলীন ভোলার মদনপুর

-

ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন মধ্য মেঘনায় বসবাসকারীদের মানবেতর দিন যাপন করছেন। মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। মদনপুর ইউনিয়নের ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ভেঙে অনেকটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এসব ওয়ার্ডে বসবাসকারী প্রায় চার হাজার মানুষ এখন অনেকটা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছে। আবার অনেকে অবস্থান নিয়েছে নিকটবর্তী কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে। ভোলার দ্বীপ থেকে মদনপুর ইউনিয়নে নদীপথে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ইঞ্জিনচালিত নৌকা, যা একান্তই সময় সাপেক্ষ।
সরেজিমন দেখা যায়, স্থানীয় সড়ক ও ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। পানিতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় অনেকটা স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ রয়েছে তাদের। চরের একাধিক লোকের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রথমে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির রেশ কাটতে না কাটাতেই আবারো জোয়ারের পানিতে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে। শুকনো মৌসুমে উত্তপ্ত বালুর সাথে যুদ্ধ করে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। আর বর্ষা এলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে জোয়ারের পানিতে কচুরিপানার মতো ভেসে বেড়াতে হয়।
স্থানীয় ইয়াছমিন বেগম বলেন, আগে আমি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেছি। সেখানে আমরা অনেক সুখে-শান্তিতে ছিলাম। মেঘনায় ভেঙে যাওয়ার ফলে বর্তমানে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আছি। এখানে আমার হাঁস-মুরগি লালন-পালন করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য জিয়াবুন নেছার স্বামী জাহাঙ্গীর সরকার জানান, আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে নদী ভাঙন। ভেঙে যাওয়ার কারণে লোকজন বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে প্রায়ই ঝগড়া বিবাধের সৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচল করতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য আনা নেয়া করতে গেলে বিপত্তির যেন শেষ নেই।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ: দা:) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওয়ার্ড ভাঙার বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement