জবাই বিলের কয়েক হাজার হেক্টর আমন ধান নষ্ট
বিল রক্ষা বাঁধের স্লুইস গেট বন্ধ- ছাদেক উদ্দীন সাপাহার (নওগাঁ)
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা বন্যা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নবনির্মিত স্লুইস গেটে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবাই বিলে পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বিল এলাকার কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক অর্থ ব্যয় করে আবাদ করা ফসল নষ্ট হওয়ায় ওই এলাকার কৃষকেরা এখন দারুণ হতাশায় ভুগছেন।
বিল এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আকাশ থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা সীমান্তঘেঁষা পুনর্ভবা নদীর পানি এখন বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে জবাই বিলের পানিও বেড়ে ওঠে আমন আবাদের মাঠকে একাকার করে ফেলেছে। এ দিকে এ বছরই পানি উন্নয়ন বোর্ড জবাই বিল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে মেইন পয়েন্টে ১২০ ফুট প্রশস্ত জায়গায় ১৪ কপাট বিশিষ্ট একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করে। স্লুইস গেটের সবকটি দরজা বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। যে কারণে বিলের পানি নদীতে নামতে না পেরে বিল এলাকার ওই ফসলি জমিগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ ও সাধারণ কৃষকরা মনে করছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রকৃতিগত কারণসহ বিভিন্ন কারণে এ এলাকার প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির আমন ফসল পানিতে তলিয়ে সমুদয় ফসল নষ্ট হয়েছে। কয়েক দিন আগে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও জানাজানি হওয়ার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশক্রমে কয়েক দিন ধরে মেনুয়াল পদ্ধতিতে ¯ুøইস গেটের কপাটগুলো খোলার জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এতে করে বিলের পানি কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। কপাটগুলো সম্পূর্র্ণ খোলা ও নদীর পানিতে টান ধরলেই বিলপাড়ের অনেক আবাদি জমি জেগে উঠবে বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত আবাদি জমিতে শতভাগ আমন ফসল না পেলেও সেখানে তারা আগাম রবি ফসল করতে পারবেন বলে কৃষি বিভাগ ধারণা করছেন।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পওর উপ-বিভাগ-৩) সাখাওয়াত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিছু দিন আগে কাজ হওয়া ওই স্লুইস গেটের দরজা শুরু থেকেই বন্ধ ছিল। মূলত এই ¯ুøইস গেটটি নির্মিত হয়েছে জবাই বিলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও মাছ আটকানোর জন্য। হঠাৎ প্রবল বৃষ্টিপাতে এত পানি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি ধারণা করা যায়নি। স্লুইস গেটে বিদ্যুৎসংযোগ দেয়া হলেই সহজেই এই সমস্যা সমাধান করা যাবে। বর্তমানে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ায় মেনুয়াল পদ্ধতিতে কপাটগুলো খুলতে একটু বেশি সময় লেগেছে। ইতোমধ্যে ওই গেটের সব কপাট খোলা হয়েছে এবং বিলের পানি প্রবল বেগে নিচে নামতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা