২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মির্জাগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্প জরাজীর্ণ মানবেতর জীবন বাসিন্দাদের

-

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় খাস জমিতে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো বহু বছর হয়ে গেলেও সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ঘরগুলো। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছে এখানে বসবাসরত ভূমিহীনরা। সংস্কার করার সামর্থ্য না থাকায় তারা বৃষ্টিতে ভিজছে আর রোদে শুকাচ্ছে। আবার কেউ ঘরে থাকতে না পেরে কাজের সন্ধানে অন্য স্থানে বাস করছে। এ অবস্থায় তারা সরকারের কাছে আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর ঘর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে সরকারি অর্থায়নে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া বাজার সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প, ভিকাখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং ২০০৯ সালে মসজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামে, বাসণ্ডা গ্রামে, দৈউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের দেউলী গ্রামে, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের কপালভেড়া গ্রামে, মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো নির্মিত হয়। প্রকল্পের মধ্যে মসজিদ, কবরস্থান, সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ টিনের ব্যারাক রয়েছে। প্রতিটি ব্যারাকে রয়েছে ১০টি করে কক্ষ। আবাসিক জমিসহ প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারকে এসব ব্যারাকে একটি করে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়। ১০টি পরিবারের জন্য চারটি শৌচাগার ও দু’টি গোসলখানা নির্মাণ করে দেয়া হয়। এ ছড়াও প্রতিটি ব্যারাকের জন্য একটি করে গভীর নলকূপ বসানো হয়। কিন্তু নির্মাণের পর অনেক বছর পার হলেও সংস্কার হয়নি আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো। ফলে নষ্ট হয়ে গেছে প্রকল্পের অনেক কিছু।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ঘরের টিনে মরিচা পরে ছিদ্র হয়ে গেছে। ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে পলিথিন দিয়ে তার ওপরে ইটচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। দরজা ও জানালাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। কাকড়াবুনিয়া প্রকল্পের বাসিন্দা হেলাল বলেন, ঘরের মধ্যে এখন আর থাকা যায় না। বৃষ্টি এলে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। কপালভেড়া প্রকল্পের বাবুল বলেন, সরকার ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করতে আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণ করে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষায় ঘরের ভেতরে পানি পড়ে, শীতের সময়ে লাগে ঠাণ্ডা। আমরা নানা সমস্যার মধ্যে থাকলেও সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
কাকড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সহায়, সম্বল ও ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সরকার। কিন্তু নির্মাণের দীর্ঘ দিন পেরোলেও সংস্কার না করায় এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন জানান, প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করে জরাজীর্ণ ঘরগুলোর তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে জরাজীর্ণ ঘরগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement