২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নীলফামারীর খয়রাতনগর স্টেশন এখন চারণভূমি

-

পশুচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে নীলফামারী জেলা সদরের খয়রাতনগর রেলওয়ে স্টেশন। ভাষা সৈনিক খয়রাত হোসেনের নামে নামকরণ করা স্টেশনটি এক সময় মানুষের পদচারণায় মুখর থাকলেও এখন ট্রেন না থামায় সেখানে শুধুই নীরবতা।
নীলফামারী জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াকুটি গ্রামের খয়রাত হেসেন ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ও যুক্তফ্রট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তার স্মৃতি ধরে রাখতে স্টেশনটির খয়রাতনগর নামকরণ করা হয়। স্টেশনটি চালু হওয়ার পর থেকে সব ধরনের ট্রেন থামতো এবং হাজারও মানুষ ওঠানামা করতেন। কাউন্টারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনে উঠতে হতো ভিড় ঠেলে। এ স্টেশন দিয়ে পার্শ্ববর্তী খানসামা, পাকের হাট, বীরগঞ্জ ও রানীরবন্দর এলাকার যাত্রীরা সৈয়দপুর, ভবানীপুর, পাবর্তীপুর ও দিনাজপুরের বিভিন্ন হাটবাজারে মালামাল পরিবহন ও যাতায়াত করত। এ ছাড়া এলাকার মানুষ শীত মৌসুমে নতুন আলু, টমেটো, গাজর, মুলা, বেগুন ও কপি নিয়ে বিক্রি করতে যেতেন খুলনায়। খুলনার লোকজন এই পথে নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, চিলাহাটি ও জলঢাকা থেকে বিভিন্ন পণ্য আনানেয়া করত।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, স্টেশনের পাশেই উত্তরা ইপিজেডের অবস্থান। শ্রমিকরা ট্রেন ব্যবহার করে নিরাপদে দূর-দূরান্তে যাতায়াত করতে পারবেন এই পথ ধরে। এ ছাড়া স্টেশনটি ব্যবহার করে উত্তরা ইপিজেডের উৎপাদিত পণ্য ট্রেনে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভাষা সৈনিকের নামে নামকরণ করা স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাবে এটি এলাকাবাসীর কাম্য নয়। স্টেশনটি পুনরায় চালুর দাবি জানাই আমরা।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, স্টেশনটি চালুর ব্যাপারে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement