১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবারো ভরাট হয়ে যাচ্ছে নারোদ নদী : নেই প্রবাহ

পুনঃখননের পাঁচ বছরের মধ্যে নারোদ নদীর অবস্থা; পুনঃখনন ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের সাইনবোর্ড : নয়া দিগন্ত -

পুনঃখনন করার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও নদীতে এখনো পানির প্রবাহ শুরু হয়নি। এ ছাড়া তদারকির অভাবে নদীর দু’পাশের খাঁড়িতে রোপণকৃত বনায়ন কেটে জমি দখল করছে প্রভাবশালীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন একটি মাত্র কালভার্ট না থাকা এই নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধের মূল কারণ। যে কারণে আবার মরতে বসেছে প্রায় সাড়ে চার কোটি ব্যয়ে খননকৃত নারোদ নদী। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, নদীটি পুনঃখনন করায় এই এলাকায় বর্ষা মৌসুমের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন ও খরা মৌসুমে আবাদি জমিগুলোতে সেচসুবিধার আশা করলেও তা ব্যাহত হচ্ছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরেন্দ্র এলাকায় খাল ও নদীর পানি সংরক্ষণ ও সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় দখল এবং ভরাট হয়ে যাওয়া নারোদ নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়া হয়। নারোদ নদী চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর বালুঘাট এলাকার পদ্মা নদী থেকে পুঠিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে মুসা খাঁ নদী পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। আর তা পুনঃখনন ও নদীর দু’পাড়ে বনায়ন কাজে বরাদ্দ ছিল চার কোটি ৩২ লাখ টাকা। অবৈধ দখলমুক্ত ও সমতল হয়ে যাওয়া নদীটি পুনঃখনন করে পানিপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে খরা মৌসুমে এ অঞ্চলের এক হাজার ৬৫০ হেক্টর কৃষিজমি সেচের আওতায় আসত। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চলের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে দীর্ঘদিন জমে থাকা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে সহায়ক মাধ্যম তৈরি হতো। তবে খননকৃত নদী থেকে পানি তুলে সেচকাজে ব্যবহারে জন্য ইতোমধ্যে নারোদের ১৩টি স্থানে সোলার প্যানেলভিত্তিক অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু চারঘাট-সারদা ট্রাফিক মোড়ের কাছে একটি কালভার্ট সংস্কার ও সম্প্রসারণ করতে না পারায় পদ্মা নদী থেকে পানির প্রবাহ প্রায় বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া নদীর কয়েকটি স্থানে সড়কপথ থাকলেও সেখানে কালভার্ট নেই। যে কারণে নদীর ওই সব স্থানে পানির স্রোতধারা বন্ধ রয়েছে। পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় খননকৃত নদীর দুই পাড় ধসে তলদেশ আবারো ভরাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বালদিয়াড় এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, নদীটি দখলমুক্ত করে পুনঃখনন করার প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বিগত দিনে নদী ভরাট করে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা তৈরি করা রয়েছে। অথচ ওই রাস্তাগুলোর নিচে কালভার্ট না থাকায় বিলের পানি নদীতে নামলেও তা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে খননকৃত নদীর কয়েকটি স্থানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছেন। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে নদীর দু’পাড়ে রোপণকৃত বিভিন্ন রকমের গাছপালা কেটে সাবাড় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পুঠিয়া আঞ্চলিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, নারোদ নদী দখলমুক্ত করে প্রায় পাঁচ বছর আগে পুনঃখনন করা হয়েছে। নদীর ওপরে থাকা কয়েকটি রাস্তার নিচে পাইপের মাধ্যমে পানি যাতায়াতের ব্যবস্থা করা আছে। এ ছাড়া খরা মৌসুমে পদ্মা থেকে ডিপ মেশিনের মাধ্যমে নারোদ নদীতে পানি দেয়ার দাবি জানান তিনি। আর নদীর দু’পাড়ে রোপণকৃত বনায়ন কেটে সাবাড় হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে এমন অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল! অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে সালাম-মজনু গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু মসজিদের ভেতর থেকে খাদেমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো?

সকল