রৌমারীতে পানির নিচে হাজার একর জমির ফসল
- মোস্তাফিজুর রহমান তারা রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:৪৬
রৌমারীতে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় হাজার একর জমির ফসল। সম্প্রতি বন্যার পানির তোড়ে উপজেলা শহর রক্ষা বাঁধটিও ভেঙে যায়। যার ফলে এ অঞ্চলের খাল-বিল হাওর ও ফসলি জমির ওপর দিয়ে ব্রাহ্মপুত্রের দিকে পানির ¯্রােত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তীতে বানের পানি কমতে থাকলে কৃষক আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ দিকে আমনধান রোপণ শেষ হতে না হতেই বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায়।
কৃষকদের অভিযোগ, তাদের ব্যাপক ক্ষতির একমাত্র কারণ ফৌজদারি বেড়িবাঁধ। এটি উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের পূর্বপারের ৩ লাখ মানুষের বাড়িঘর ও ফসল রক্ষার গুরুত্বপুর্ণ বাঁধ। বন্যার কারণে বাঁধটির ৩০ মিটার ভেঙে বাঁধের পূর্বপাশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষক বাঁচাতে বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন হলেও তাতে কারো দৃষ্টি নেই। এ যেন কৃষকের স্থায়ী মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বাঁধটি ভাঙনের মুখে পড়ে বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। এখন এক মাসেরও বেশি সময় আগে পানি নেমে গেলেও বাঁধ নির্মাণে নজর দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাঁধের ভেতর হাজার হাজার একর ফসলি জমি অরক্ষিত অবস্থায় থেকে গেছে। বাঁধটি ভেঙে ব্রহ্মপুত্রের সাথে একাকার হয়ে যাওয়ায় কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সহজে সংশ্লিষ্ট এলাকাটি প্লাবিত হয়।
স্থানীয় মাইদুল, সামাদ, আয়নাল, তালেব, জাকারিয়া, নজরুলসহ একাধিক কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, বাঁধটি দ্রুত ও শক্তিশালী করে মেরামত করলে এ অঞ্চলের কৃষক নিরাপদে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। বাঁধটি তদারকিতে প্রশাসন, কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তারা।
এলজিইডি রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, রৌমারীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষায় বেড়িবাঁধগুলো জরিপের কাজ চলছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে মেরামতকাজ শেষ করা হবে।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান বলেন, রৌমারীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে কথা হয়েছে। আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা