১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমতলী-তালতলী সড়কের ৮ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা

-

বরগুনার আমতলী-তালতলী সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচল করছে খুব ঝুঁকি নিয়ে। সেই সাথে নিত্য দ;ুর্ভোগ অঅর অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা তো রয়েছেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলী-তালতলীর ফকিরহাট পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমতলী-তালতলীর অন্তত অর্ধ লাখ লোক যাতায়াত করে থাকে। এ সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশ খানাখন্দে ভরা। ২০-৩০ গজ দূরত্বে রয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ। খানাখন্দের কারণে সড়কটি যানবাহন চলচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়ক সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এমনটিই আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী ও সড়কে চলাচলকারী গাড়ির চালকরা।
২০১৮ সালে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার থেকে তারিকাটা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সড়ক সংস্কারের এক বছরের মাথায় ওই সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের গাফলতিতে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় সড়ক এক বছরের মাথায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশে প্রতি ২০-৩০ গজ দূরে দূরে রয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। খানাখন্দ দিয়ে গাড়ি চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের ইট-পাথরের সুরকি বের হয়ে মাটি উঠে গেছে। খানাখন্দে গাড়ির চাকা ফেঁসে যাচ্ছে। কাদা মাটিতে মিশে সড়ক একাকার হয়ে গেছে।
তারিকাটা এলাকার মোতালেব মিয়া, নশা হাওলাদার, মোকারোফ হোসেন, কবির উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম ও বাহাদার বলেন, দুই বছর ধরে সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকজন দেখেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তারা আরো বলেন, দ্রুত এ সড়ক সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন মিস্ত্রি, বাকীবিল্লাহ ও জাফর বিশ^াস বলেন, এটি সড়ক নয়, যেন খাল। সড়ক দিয়ে গাড়ি ও মানুষ চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানাই।
বাসচালক মজিবুর রহমান, শানু হাওলাদার ও আবদুস সালাম জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মনোরায়ারুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন আমতলীতে যোগদান করেছি। খোঁজখবর নিয়ে সড়ক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement