২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ক্রেতা নেই : কোরবানির পশু নিয়ে চিন্তিত চিতলমারীর খামারিরা

-

কোরবানির দিন ঘনিয়ে এলেও স্থানীয় পশুর হাটগুলোতে পশু কেনাকাটায় তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। বাজারে ক্রেতার সমাগম একেবারেই কম। তাই গরু বিক্রি নিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারীর খামারিরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। গরু বিক্রির লাভের টাকায় করোনা সঙ্কটে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখলেও তা দিনে দিনে দুঃস্বপ্নে রূপ নিচ্ছে।
চিতলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৮৬০ জন খামারি রয়েছেন। তারা কোরবানি উপলক্ষে এক হাজার ৩২৮টি ষাঁড়, ২২০টি বলদ, ১০০টি গাভী, ৭০টি ছাগল ও ৩০টি ভেড়া পালন করেছেন। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী খামারি ও পশুর পরিমাণ দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন পশু ব্যবসায়ী এবং খামারিরা।
স্থানীয়রা জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এ বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু কেনার কোনো আগ্রহ ব্যাপারীদের দেখা যাচ্ছে না। হাটে যেসব গরু উঠছে তাও ক্রেতার অভাবে তেমন বিক্রি হচ্ছে না। অপর দিকে অনলাইনের মাধ্যমে গরু বেচাকেনার বিষয়ে গ্রামের খামারি ও ব্যাপারীদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। যার কারণে অনলাইনে গরু বিক্রি করার কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।
উপজেলার খড়মখালী গ্রামের নয়ন রানা, বিমল মজুমদার, প্রভাস মণ্ডল, পুলক হীরাসহ কয়েকজন খামারমালিক জানান, বিগত বছরগুলোতে এ সময় বেশির ভাগ গরু বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের জন্য কোনো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে গরুর খাবারের দাম বেড়েই চলেছে। গত বছর যে ষাঁড় দুই লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এ বছর তার দাম এক লাখও হচ্ছে না। ধারদেনা করে খামারে গরু তুলেছি। ঠিকমতো দাম না পেলে এবার পথে বসতে হবে।
তবে চিতলমারী উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শেখর বিশ্বাস বলেন, করোনা কালীন পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভয় না পেয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কোরবানির পশু হাটে নিয়ে বেচাকেনা করার কথা বলেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement