২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধামরাইয়ে ২০ হাজার মানুষের ভরসা ভাঙা কাঠের সেতু

-

ঢাকার ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমড়াইল পাঁচলক্ষ্মী ও টেটাইল গ্রামের মধ্যবর্তী বংশী নদীতে কোনো সেতু না থাকায় এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপার হতো। কিন্তু প্রতি বছরই বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানাতে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। আমড়াইল, টেটাইল, পাঁচলক্ষ্মীসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোক এই সাঁকোর ওপর নির্ভরশীল ছিল। এত দুর্ভোগ সহ্য না হওয়ায় অবশেষে গ্রামবাসী বাঁশের সাঁকোর বদলে কাঠেরপুল বানায়। কিন্তু তাতেও দুর্ভোগের খুব বেশি অবসান ঘটেনি। এলাকাবাসী এখানে একটা স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আমড়াইল পাঁচলক্ষ্মীর পার্শ্ববর্তী টেটাইল এলাকার ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে বংশী নদী। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা বা রাত পর্যন্ত শত শত মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই নদী পার হয়ে স্কুল-কলেজ ও অফিস আদালতে যায়। প্রয়োজনীয় কাজে সবসময়ই শহরে যেতে হয়। কিন্তু শত গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও তাদের জন্য মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাড়ি থেকে দ্রুত বের হয়ে এলেও নদীর পাড়ে এসে কাঠের পুল পার হতে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। কারণ ভ্যান, অটোরিকশা ছোট্ট পুলে উঠলে পারাপার হতে দেরি হয়ে যায়। ভিন্ন চিত্র দেখা যায় ভরা বর্ষা মৌসুমে। কারণ নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে অনেকবার সাঁকো ভেঙে গেছে। তখন এলাকার মানুষের নদী পার হয়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে বা শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। আবার অনেকে সঠিক সময়ে পৌঁছাতেও পারে না। এক সময়ের বাঁশের সাঁকোর বদলে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে কাঠের পুল বানালেও তাতে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। তাই সরকারের কাছে মানুষের দাবি, এ এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য একটি সেতু দরকার।
এলাকার সরকারি চাকরিজীবী আসলাম হোসাইন বলেন, আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বাঁশের পরিবর্তে কাঠ দিয়ে পুল বানিয়েছি। এটা টেকসই বেশি হবে। আমি নিজে বাড়ির গাছ কেটে তা ভাঙিয়ে পুলের জন্য কাঠের ব্যবস্থা করেছি। এলাকার সবাই সহযোগিতা করছে। যারা ভ্যান ও অটোরিকশা চালান তারা এক হাজার টাকা করে দিয়েছেন। আবার সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা আরো বেশি করে দিয়েছেন। আমরা এলাকাবাসী মিলে চেষ্টা করছি আমাদের কষ্ট লাঘবের জন্য।
এ বিষয়ে যাদবপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, যাদবপুর ইউনিয়নের আমড়াইল পাঁচলক্ষ্মী এবং টেটাইল গ্রামের মাঝে বংশী নদীর ওপর কাঠের পুল দিয়ে শত শত মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে পারাপার হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে একটি সেতু খুব প্রয়োজন।
এ বিষয়ে যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, আমড়াইল পাঁচলক্ষ্মী এলাকায় বংশী নদীর ওপর সেতু তৈরির জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। তবে আমি চেষ্টা করে দেখছি ওই এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য কী করে একটি সেতু স্থাপন করা যায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement