নান্দাইলে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার পাননি তালিকাভুক্ত অনেকেই
- ফজলুল হক ভূঁইয়া নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
- ১১ জুলাই ২০২০, ০০:০৫
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় হতদরিদ্র পরিবারের সাত হাজার ৩১৯ জন তালিভুক্তির অনেকে এখনো প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তার অর্থ পাননি বলে অভিযোগ করেছে তালিকাভুক্তরা। জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম-তারিখ, সিম রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য তথ্যের গরমিল থাকায় এ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সারা দেশের মতো ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ৭ হাজার ৩১৯ জন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থসহায়তার তালিকা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের খামখেয়ালির কারণে তারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া সংশোধিত তালিকায় নাম না থাকা অনেক তালিকাভুক্ত উপকারভোগীও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দুই হাজার ৫০০ টাকা এখনো পাননি। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদুল ফিতরের আগে তাদের নিজ নিজ মোবাইলে টাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও এখনো অনেকে তাদের এ টাকা পাননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল জানান, মুজিববর্ষে সারা দেশে ৫০ লাখ পরিবারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অর্থসহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর তথ্য সংশোধনের জন্য সংশোধনী তালিকা এসেছে। ৬ হাজার ৩৮১ জনের টাকা তারা পাচ্ছেন না। নামের তথ্য গরমিল ও বিকাশ নম্বর সঠিক না থাকায় টাকা প্রাপ্তির সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। সংশোধিত নতুন তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা এসেছে এবং আমরা তালিকা ও তথ্য সংশোধন করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাচ্ছি। সূত্র জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম তারিখ, সিম রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন তথ্যের গরমিল থাকায় এ সুবিধা থেকে অনেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ধরগাঁও গ্রামের শামিম মিয়া জানান, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও আমি টাকা পাইনি। নান্দাইল ইউপি চেয়াম্যান আনোয়ারুল হক জানান, তালিকাভুক্তরা তার মোবাইল সিম অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন থাকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল নম্বর দেয়ায় তারা টাকা পাননি। তিনি আরো জানান, তালিকাভুক্ত কেউ টাকা না পেলে তারা আগামীতে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমেও টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে তালিকাভুক্ত কেউ বঞ্চিত হবেন না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল আলিম জানান, এ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত থেকে এক হাজার ৯৩২ জন টাকা পেয়েছে। তালিকাভুক্ত যেসব উপকারভোগীর তথ্যে ভুল আছে তা সংশোধনের কাজ চলছে। কোনো উপকারভোগী যাতে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনামতো কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা