২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলাপাড়ায় পানিবন্দী ১৭ গ্রামের মানুষ

-

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১৭ গ্রামের মানুষ। এর আগে ভাঙন এলাকাটি বিভিন্ন সময়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, জেলা, উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন শেষে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির গত পাঁচ বছরেও বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ২০০৭ সালে সিডরে লালুয়ার সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। পরে কয়েকবার জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হলেও তা মানহীন নির্মাণ কাজের কারণে বেশি দিন টেকেনি। চলতি বর্ষা মৌসুমেও জোয়ারের পানি গ্রামে ঢুকে পড়লে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১৭টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ। ফসলি জমি, পুকুর ও মাছের ঘের প্লাবিত হওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ।
লালুয়ার চারিপাড়া, পশরবুনিয়া, বানাতিপাাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সাগর ও রাবনাবাদ নদের মোহনায় লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের অস্তিত্বই নেই। বিভিন্ন ভাঙা অংশ দিয়ে হু হু করে নামছে ভাটার পানি। পানিতে বেশির ভাগ বাড়িঘর তলিয়ে আছে। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ বসতঘর। ইউনিয়নজুড়ে মাটির রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী ও সুবিধাভোগী ঠিকাদার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু প্রকৌশলীদের কারণে শুরু থেকেই বারবার সংস্কারকাজ হলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, ভূমি অধিগ্রহণসহ পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় লালুয়া বাঁধের স্থায়ী নির্মাণকাজ শুরুতেই আটকে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর লালুয়া ইউনিয়নের ওই এলাকার জমি অধিগ্রহণে জঠিলতায় গত পাঁচ বছর ধরে বাঁধের সংস্কার করা যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement